ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্থগিত হওয়া আইপিএলেও ফিক্সিংয়ের অভিযোগ!

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
স্থগিত হওয়া আইপিএলেও ফিক্সিংয়ের অভিযোগ!

করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি মৌসুমের আইপিএল ইতোমধ্যে স্থগিত হয়ে গেছে। তবে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলেই নাকি গড়াপেটা হচ্ছিল।

বুধবার এমনই ভয়ঙ্কর খবর দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান সাব্বির হুসেন শেখাদাম। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এমনই তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি পর্বে আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে পড়া নিয়ে উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব, সেই দিল্লির কোটালা স্টেডিয়ামেই বল ধরে ধরে বেটিং চলছিল! খোদ স্টেডিয়ামের মধ্যে থেকেই। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বুকি প্রবেশ করল কিভাবে? প্রতিবেদনে একজন ক্লিনারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বুকিরা নিয়োগ করেছিল। তবে একদম বেটিং করার সময়েই ধরা পড়ে যায় সেই ব্যক্তি। আইপিএল বন্ধ হওয়ার পরে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য ফাঁস করেছেন সাব্বির হুসেন।

ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে গুজরাট পুলিশের প্রাক্তন এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটি ম্যাচ চলার সময় স্টেডিয়ামের একটি নিরিবিলি জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্প্রচার এবং লাইভ একশন চলার মাঝে গড়াপেটা করছিল ফোনে। সেই সময়েই দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তার নজরে পড়েন তিনি। কী করছেন, জিজ্ঞাসা করলেই জবাব দেওয়া হয়, বান্ধবীর সঙ্গে সেই ব্যক্তি ফোনে কথা বলছিলেন। এরপরেই ফোন কেড়ে নিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন কর্মকর্তারা। তবে ফোন কর্মকর্তারা নিয়ে নেওয়ার সময়েই পালিয়ে যান সেই ব্যক্তি।

তবে কোন ম্যাচের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল তা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালস বনাম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মধ্যকার ম্যাচে এমনটি হয়েছিল। ঘটনার পরেই এন্টি করাপশন ইউনিটের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে, মে মাসের ২ তারিখে রাজস্থান রয়্যালস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ চলাকালে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগেও দুই ব্যক্তি দু-বার স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি 'ছোট মাছ'। হয়ত কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে স্টেডিয়াম থেকে সরবরাহ করছিল তাঁরা। তবে 'গভীর জলের মাছ'দের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।  

আরো জানানো হয়েছে, মুম্বাই লেগের সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে হোটেলে ছিল, সেই হোটেলের বেশ কয়েকটি রুমে সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তি ছিল। যাঁদের ডেটাবেস রয়েছে করাপশন ইউনিটের কাছে। তবে সেই ব্যক্তিরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।