ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং, ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার রাজস্থানের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং, ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার রাজস্থানের সংগৃহীত ছবি

আইপিএলের এবারের আসরে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচেও বল হাতে ঝলক দেখালেন ‘কাটার মাস্টার’।

৪ ওভার বল করে কোনো বাউন্ডারিও হজম করেননি তিনি। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে গেছে তার দল রাজস্থান রয়্যালস।

শনিবার মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪-এর বেশি রান করতে পারেনি। তবে জবাবে রাজস্থান ৬ উইকেটে ১২১ রান তুলতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৩ রানে হেরে যান মোস্তাফিজরা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা রাজস্থানের হয়ে বল ওপেন করেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে তার খরচ মাত্র ৬ রান। ১২তম ওভারে ফের বল হাতে নিয়ে ফিরিয়ে দেন ঋষভ পন্থকে (২৪)। ফিজের বল পন্থের ব্যাটে লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ফিরতি ওভারে এসে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ১৬ বলে ২৮ রান করা বিধ্বংসী শিমরন হেটমায়ারকে চেতন সাকারিয়ার তালুবন্দি করেন ফিজ।  

স্লগ ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক স্যামসন। ওই ওভারে দিয়েছেন ৯ রান। একটি রান-আউটের সুযোগ থাকলেও হয়নি। ফিজ ছাড়াও চেতন সাকারিয়া ২ উইকেট নিয়েছেন। তবে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তিনি বেশ খরুচে। ১ উইকেট নেওয়া কার্তিক ত্যাগীও বেদম মার খেয়েছেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান। ৩ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে আরেকটি উইকেট নিয়েছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। দিল্লির হয়ে ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন ওপেনার শ্রেয়াস আইয়ার।

জবাব দিতে নেমে ১৭ রানে তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। এরপর মহিপাল লোমরোরকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ২৪ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন মহিপাল। এরপর রায়ান পরাগ (২) দ্রুত বিদায় নিলে ৫৫ রানে দলটি হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন স্যামসন। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটিও। কিন্তু ম্যাচ ততক্ষণে রাজস্থানের নাগালের বাইরে চলে গেছে।  

১৮তম ওভারে স্যামসনকে ক্রিজে রেখে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটেন রাহুল তেওয়াটিয়া (৯)। ১৮তম ওভারে এনরিচ নরকিয়া রাহুলকে বিদায় করার পাশাপাশি খরচ করেন মাত্র ২ রান। ফলে শেষ ২ ওভারে রাজস্থানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৪ রান। রাবাদার করা ১৯তম ওভারে আসে দুই ওয়াইডসহ মাত্র ৯ রান। আর আভেশ খানের করা শেষ ওভারে আসে এক ছক্কাসহ ১১ রান। স্যামসন শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে যান।

বল হাতে নরকিয়া ৪ ওভারে ১৮ রান খরচে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাদা, অক্ষর প্যাটেল এবং আভেশ খান।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো দিল্লি। ১০ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই সুপার কিংস ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে দুইয়ে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট পাওয়া রাজস্থানের শেষ চারে উঠার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল। স্যামসনের দল এখন আছে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।