ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপজ্জনক ফখরকে বিদায় করলেন তাসকিন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
বিপজ্জনক ফখরকে বিদায় করলেন তাসকিন

২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া পাকিস্তানকে পথ দেখাচ্ছিলেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। ফখর ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও বেশিদূর যেতে পারলেন না।

বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় তার ৩৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮২ রান।  

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে রানের ফুলঝুরি ছোটানো পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১১) বিদায় করেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। এরপর চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাবর আজমকে (৩) বোল্ড করে ফেরান তাসকিন আহমেদ।  

সফরকারীদের ওপর চাপ বাড়িয়ে তিনে নামা হায়দার আলীকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর বিশ্বকাপে দারুণ ব্যাটিং করা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক (০) দারুণভাবে রান-আউট করেন নুরুল হাসান সোহান। পাকিস্তান ২৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। ১০ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে মাত্র ৪০ রান।

চাপে পড়া পাকিস্তানের হাল ধরেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। এর মধ্যে ১৩তম ওভারে তাসকিনের বলে ১১ রান এবং পরের ওভারে মাহমুদউল্লাহ খরচ করেন ১০ রান। শেষ ৩৬ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২ রান। ১৫তম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। ওভারের প্রথম বলে চার হজম করার পরের বলেই ফখরকে (৩৪) উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি।

এর আগে নতুন শুরুর আশায় পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে ঝড় তোলা তো দূরের কথা, টানা উইকেট পতনে উল্টো চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যা একটু চেষ্টা করলেন আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান। এই তিনজনের ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তিন পেসার- তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামকে একাদশ সাজায়। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পান লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় সাইফ হাসানের। অন্যদিকে পাকিস্তান দল মাঠে নামে দলের মূল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছাড়াই।  

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১০ রানে মধ্যেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অভিষিক্ত সাইফ হাসান দুজনেই বিদায় নিয়েছেন। হাসান আলীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা পরের ওভারের শেষ বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফও। দুজনের কেউই ১ রানের বেশি করতে পারেননি।  

এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতেই ক্যাচ দেন ৭ রানের ইনিংস খেলেই। প্রথম ৩ ব্যাটারের কেউই বাউন্ডারি বা ছক্কাও হাঁকাতে পারেননি। ফলে পাওয়ার প্লে থেকে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ রান তুলেত পারে বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মাত্র ৬ রান করেই পাকিস্তানি পেসার নওয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটেন।  

৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখান আফিফ হোসেন। কিন্তু ১০তম ওভারে পাকিস্তানের স্পিনার শাদাবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। আম্পায়ার আউটও দেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিভিও নেন আফিফ এবং তাতে বেঁচে যান তিনি। ওই ওভারে অবশ্য কোনো রান আসেনি। কিন্তু পরের ওভারেই নওয়াজের বলে পর পর দুই ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু শাদাবের পরের ওভারেই ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে খেলতে এসে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে শেষ হয় আফিফের ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।  

আফিফের বিদায়ের পর হাল ধরেন নুরুল। শাদাবের এক ওভারে এক ছক্কা ও ১ চার মারার পরের ওভারে ওয়াসিমের বলেও এক ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটার। কিন্তু ১৭তম ওভারে হাসান আলীর বলে অফ সাইডের অনেকটা বাইরের বলে মারতে গেলে বল সোহানের ব্যাটের কানায় লেগে রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা হয়। ফলে শেষ হয় সোহানের ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস।

এরপর হাসানের পরের ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান ছক্কা হাঁকানোর পর চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আমিনুল। এরপর হারিস রৌফের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে মেহেদী ও শেষ বলে তাসকিন আহমেদ ছক্কা হাঁকালে সম্মনজনক স্কোর পায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী।

বল হাতে পাকিস্তানের হাসান আলী নেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানের দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।