অসাধারণ বল করা তাইজুল ইসলাম আরও একটি উইকেট তুলে নিলেন। শতক হাঁকানো আবিদ আলীকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই বাঁহাতি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯৬ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করেছে পাকিস্তান।
এর আগে উইকেটে কষ্ট করা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান এবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের ইনসুইং বুঝতে না পেরে এলবি হন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার (৫)। এরইসঙ্গে ৫ উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই বেশ মেজাজে বোলিং করেন তাইজুল ইসলাম। এর ফলও পান হাতেনাতে। প্রথমে জোড়া আঘাতের পর পাকিস্তানি ব্যাটার ফাওয়াদ আলমকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান। প্রতিপক্ষের ১৮২ রানের মাথায় এই বাঁহাতিকে উইকেটরক্ষক লিটন দাশের ক্যাচে পরিণত করেন স্পিনার তাইজুল।
বাবর আজমকে সরাসরি বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করান মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক ৪৬ বলে ১০ রান করতে পারেন। অন্যপ্রান্তে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত রয়েছেন ওপেনার আবিদ আলী।
তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারেই বাজিমাত করেন তাইজুল ইসলাম। দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে পর পর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
গত দিনের নির্বিষ বোলিংয়ে দাপট দেখানো পাকিস্তান এদিন মাত্র এক রান যোগ করতেই দুই উইকেট হারায়। ওভারের পঞ্চম বলে তাইজুলের বলে এলবির শিকার হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। তিনি ১৬৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। পরের বলেই নতুন ব্যাটার অভিজ্ঞ আজহার আলীকে মাঠ ছাড়া করান তাইজুল। এই ডানহাতিকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন টাইগার স্পিনার।
রোববার (২৮ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির তৃতীয় দিনে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নামে বাংলাদেশ।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করে। অপরাজিত থাকা দুই ওপেনারের মধ্যে আবিদ আলী করেছেন ৯৩ রান, সঙ্গী শফিক ব্যাট করছিলেন ৫২ রানে। বাংলাদেশের চেয়ে ১৮৫ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাট শুরু করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এমএমএস