ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সম্ভাবনা জাগানোর পর হতাশার হারে সিরিজ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১২ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
সম্ভাবনা জাগানোর পর হতাশার হারে সিরিজ শেষ

আগের ম্যাচের চেয়ে বাংলাদেশ একটু ভালো খেলল বটে। মাঝেমধ্যে জয়ের সম্ভাবনাও একটু আধটু উঁকি দিল।

কিন্তু শেষ অবধি সঙ্গী হলো ওই হারই। তাতে বাংলাদেশ টেস্টের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে হারল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।  

বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া ম্যাচে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ওই রান ১০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় স্বাগতিকরা। এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ফলাফল হয়নি, আর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয়রা জয় পায় ৩৫ রানের ব্যবধানে।  

ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন বিজয় ও লিটন। প্রথম বাউন্ডারি আসে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। কাইল মেয়ার্সের বলে দলের হয়ে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান লিটন।

এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যায় বিজয়ের মধ্যেও। ওডিন স্মিথের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই চারও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বল পরই কিছুটা খাটো লেন্থের বল মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান আসে বিজয়ের ব্যাটে।  

এরপর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব আল হাসান। ওরকম আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়েই নিজের খেলা তৃতীয় বলে উইকেট দেন তিনি। রোমারিও শেফার্ডের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। দারুণ এক ক্যাচ নেন স্মিথ। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন সাকিব।  

তার বিদায়ের পর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন লিটন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে হেইডেন ওয়ালশের বলে আউট হন তিনি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৪৯ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন। রিয়াদ শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পাননি। শেষ অবধি তার ইনিংসটি দলকে ভুগিয়েছেও বলা চলে। নিজের ইনিংসে একটি ফ্রি হিট পেয়েছিলেন, তারপরও ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।   

আফিফ অবশ্য হয়েছেন রান আউট। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর আরও এক রান নিতে দৌড়ান তিনি। নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েলের নৈপুন্যে তাকে ফিরতে হয় রান আউট হয়ে। ৬ বল খেলে মোসাদ্দেকের ১০ রানে ১৬০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।  

জবাব দিতে নেমে শুরুতে কিছুটা চাপেই পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লের ভেতর দুই উইকেট নেওয়ার পর সাকিব আল হাসানও উইকেট পান নিজের প্রথম বলে। কিন্তু এরপরই নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্সের দারুণ ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেন নাসুম আহমেদ।  নিজের ও ইনিংসের প্রথম ওভারে ৯ রান দেন তিনি। তবে শেষ বলে তুলে নেন ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট। ক্যারিবীয় ওপেনার ৫ বলে করেন ৭ রান।

এরপর সামারাহ ব্রুকসকে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান। এই অফস্পিনারের ওভারে ১২ বলে ১২ রান করে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।  

পাওয়ার প্লে শেষে প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪ বলে ২ রান করা ওডিন স্মিথকে নিজের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব।  

এরপরই কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পুরান। ৩৮ বলে ৫৫ রান করে মেয়ার্স ফেরেন নাসুমের বলে। তবে শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক পুরান। ৫ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৪ রান করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময় : ০৩১২, জুলাই ৮, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।