ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বোলিং ব্যর্থতার পর লড়াই করে হার বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
বোলিং ব্যর্থতার পর লড়াই করে হার বাংলাদেশের

রানপাহাড়ের নিচেই চাপা পড়েছিল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমানদের তুলোধোনা করে বড় সংগ্রহ গড়েছিল জিম্বাবুয়ে।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ছন্দের হয়নি। তাতে পরের আপ্রাণ চেষ্টাও কাজে আসেনি। সঙ্গী হয়েছে হারের স্বাদ।

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে সফরকারীদের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সফরকারীদের। ৮ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার মুনিম শাহরিয়ার। মাসাদকাদজার বলে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা চিবাবার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি।  

এরপর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। দারুণ ছন্দে থাকা লিটন আউট হন অদ্ভূতভাবে। শর্ট ফাইন লেগে তার ক্যাচ ছাড়েন এনগ্রাবা, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বল ছুঁড়েন নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়ানো বোলার শেন উইলিয়ামসকে। লিটন তখন ছিলেন মাঝ ক্রিজে। রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। এর আগে ৬ চারে ১৯ বলে ৩২ রান করেন লিটন।  

দেখেশুনে খেলা এনামুল হক বিজয়ও সুবিধা করতে পারেনি। ২ ছক্কার পর ২৭ বল খেলে কেবল ২৬ রান করেন তিনি। এছাড়া ২৫ বলে ৩৭ রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে।  

বাংলাদেশের হয়ে মূল লড়াইটা করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ২৬ বলে ৪২ রান করেন তিনি। কিন্তু তার ওই চেষ্টা কোনো কাজে আসেনি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন লুক জঙ্গে।  

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ইনিংসের শুরুটা করান তাসকিন আহমেদকে দিয়ে, প্রথম ওভারে তিনি দেন ৮ রান। এরপর দ্বিতীয় ওভার করতে এসে নাসুম ৪ রানের বেশি দেননি। পরের ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।  

এই পেসারের ফুল লেন্থের বল তুলে মারতে গিয়ে ঠিকভাবে ব্যাটে লাগাতে পারেননি চাকাভা। ১১ বলে ৮ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর ওয়েসলি মাদাভিরার সঙ্গে অধিনায়ক ক্রেইগ আরবিনের জুটি জমে উঠতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন।  

তার হঠাৎ নিচু হওয়া বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান আরবিন। ২ চারে ১৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। কিন্তু এরপরই যেন ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা।  

মাদাভিরার সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন শেন উইলিয়ামস। এরপর বাংলাদেশকে ফের স্বস্তি এনে দেন মোস্তাফিজ। তার স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ব্যাটে লেগে বোল্ড হন উইলিয়ামস। কিন্তু এটাই যেন শাপেবর হয় জিম্বাবুয়ের জন্য।  

ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। মাদাভিরাকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ভাসান তিনি। মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাজা। মাদাভিরাও পুরো ইনিংস আগলে রাখার সঙ্গে রান তোলার গতি ঠিক রাখেন। ইনিংসের শেষ ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৯ চারে ৪৬ বলে ৬৭ রান করেন তিনি।  

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা সিকান্দার রাজা একরকম ছেলেখেলায় মাতেন বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬ বলে ৬৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।  

বাংলাদেশ সময় : ২০৩৬, জুলাই ৩০, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।