ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চার ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩০৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
চার ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩০৩

শুরুতে চ্যালেঞ্জ জানালেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা। তাদের বলে থাকল সুইং, অস্বস্তিতে পড়লেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

চাপ সামলে তামিম ইকবাল পেলেন হাফ সেঞ্চুরি, ছুঁলেন মাইলফলক। হাফ সেঞ্চুরি পেলেন লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম আর তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল হক বিজয়ও। তাতে জিম্বাবুয়েকে বড় রানের সামনেই দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।  

শুক্রবার হারারেতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে জিততে হলে করতে হবে ৩০৪ রান। ২ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সামনে এই লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে তামিম ইকবালের দল।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ ভোগান্তিতেই পড়তে হয়। হারারের উইকেটে সকালের দিকে মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন পেসাররা। সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবুও তারা অনেক্ষণ হারাতে দেননি কোনো উইকেট।  

দুজনের জুটিতেই ১০০ পাড় করে বাংলাদেশ। তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটিতে এ নিয়ে চতুর্থবার ঘটে এমন ঘটনা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে তামিম স্পর্শ করেন দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে ৮ হাজার রানের মাইলফলক।  

এরপর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তামিম। ৯ চারে ৮৮ বলে ৬২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলের রান তখন ১১৭। শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন লিটন। জীবন পেয়েছিলেন, রান করতে পারছিলেন না, খেলছিলেন ডট বল। তবে হাফ সেঞ্চুরি তোলার পরই খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন এই ব্যাটার।  

৭৫তম বলে এসে ফিফটি পেয়েছিলেন লিটন। পরে ১৪ বল ক্রিজে ছিলেন, তুলেছেন ২১ রান। কিন্তু যখনই উইকেটে টিকে থাকার ফায়দা তুলতে যাবেন, তখনই লিটন টান পান পেশিতে। ৮৯ বলে ৮১ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে।

এতে একরকম সুযোগই আসে এনামুল হক বিজয়ের কাছে। লিস্ট-এ ক্রিকেটে হাজারের ওপর রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন, তাতেই ডাক আসে জাতীয় দলে। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেও বিজয় সুযোগ পাচ্ছিলেন না ওয়ানডেতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্কোয়াডে থাকলেও তিন ম্যাচই থাকতে হয়েছে সাইড বেঞ্চে বসে।  

বিজয়ের কাছে সুযোগটা এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে। তিনি কতটা কাজে লাগাতে পেরেছেন? অনেকটাই। ইনসাইড এজ হয়েছে, ক্যাচও তুলেছেন। কিন্তু বিজয়কে দেখা গেছে আত্মবিশ্বাসী, খেলেছেন দারুণ কিছু শটও। যদিও সবকিছুতে পূর্ণতা দিতে পারেননি সেঞ্চুরি করে।  

৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৬২ বলে ৭৩ রান করেছিলেন। ভিক্টর নিউয়াচির বল তুলে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দেন লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়েলিংটন মাসাকাদাজার হাতে। বাংলাদেশের ইনিংসটা পরে আর এগোয়নি ঝড়ের গতিতে। মুশফিকুর রহিম ক্রিজে ছিলেন, পরে এসেছিলেন আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।  

ইনিংসের ৪৯তম ওভারেই যেমন, এসেছে কেবল ৭ রান। তবুও অবশ্য দলীয় সংগ্রহ ছাড়িয়েছে তিনশ। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ২০ ও মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৫২ রানে।  

বাংলাদেশ সময় : ১৭০২, আগস্ট ৫, ২০২২
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।