ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগ্রেসদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা কাল, প্রতিপক্ষ ভারত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২২
টাইগ্রেসদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা কাল, প্রতিপক্ষ ভারত

সিলেট থেকে: সিলেটের গরমে খাবি খাচ্ছে সবাই। চা বাগান, টিলায় ঘেরা শহরের পাশের লাক্কাতুরায় জমে উঠছে ক্রিকেটের লড়াইও।

আবহাওয়া তাতে তেমন বাধা হতে পারছে না। আউটার থেকে খেলা এখন চলে এসেছে মূল মাঠে। বাড়ছে দর্শকের সংখ্যাও। ভরদুপুরে তীব্র গরমেও হাজির হচ্ছে কয়েক হাজার দর্শক।

অনুমান করা যায় শনিবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ বলে কথা। ঘণ্টা দুয়েক আউটার মাঠে অনুশীলনের পর মুর্শিদা খাতুন যেমন বলছিলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা হলে আমাদের এনার্জি লেভেল ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ হয়ে যায়’। সমর্থকদের জন্যও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম নয়।  

ভারতীয় কোচ রমেশ পাওয়ারও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ম্যাচে আমি অনেক দর্শকের আশা করছি। কারণ তারা স্বাগতিক। ’ তিনি অবশ্য বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। যখন এসেছেন, তখন কেবল তার দল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে।

এই হার কি তাহলে তাদের পিছিয়ে দেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে? হারের কারণ হিসেবে ‘ব্যাটিং অর্ডারকে পরীক্ষা’কে দায় দিয়ে রমেশ জবাব দিলেন, ‘তেমন কিছু মনে করি না। এটাই বললাম আপনাদের, আজকে কিছু ব্যাপার চেষ্টা করেছি। এটা সিটব্যাক না, আগেই পরিকল্পনা ছিল এমন কিছু যে তিন ম্যাচ পর আমরা সুযোগ নেবো; কী হয় দেখে আবার নিয়মিত ব্যাটিং অর্ডারে ফিরে যাবো। ’

টাইগ্রেসদের নিয়ে তার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ দল হিসেবে দেখতে। কিন্তু আমরাও ভালো মৌসুম কাটিয়েছি। শ্রীলঙ্কা, কমনওয়েলথ, ইংল্যান্ড; আমরা ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলছি। তবে আমাদের মাটিতে থাকতে হবে। ’

‘টি-টোয়েন্টিতে কেউই ফেভারিট না। বিশেষত যখন দুই ওভার খারাপ হলে আপনি ছিটকে যাবেন, আবার ফিরতেও দুই ওভার লাগবে। আজকেও এমন হয়েছে। ম্যাচ এক ওভারের মধ্যেই বদলে যায়। যে নার্ভ ও প্রেশার ধরে রাখতে পারবে সেই চ্যাম্পিয়ন হবে। এটা এ দল হোক বা জেড। ’

এমনিতে খুব বেশি প্রচার-প্রচারণা নেই। তবুও যারা জানছেন, আসছেন। মাঠের পাশের এক চায়ের দোকানে যাওয়ার পর গলায় অ্যাক্রিডেটেশন কার্ড দেখে একজনের কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘এখানে কি ম্যাচ হচ্ছে?’ পাশে থাকা সঙ্গী জবাব দিয়ে দাওয়াতই দিলেন খেলা দেখতে আসার।

ওই কাজ কর্তাব্যক্তিরা তেমন করেননি। তবুও ভারত ম্যাচের খবর সিলেটে ছড়িয়ে যাওয়ার কথা। টুর্নামেন্টে এখন অবধি তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে একটিতে। ভারতের নিজেদের প্রথম হার দেখেছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগের দিন।

লড়াই জমার আভাস এমনিতেই মিলছে। পরিসংখ্যানের ব্যবধান বড় হলেও সাম্প্রতিক ইতিহাস সমর্থন যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। ১২ ম্যাচের ১০টিতেই হারতে হয়েছে। তবে যে দুই জয় এসেছে, দুটিই গত এশিয়া কাপে। দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারলে ভালো কিছুর আশা করছেন টাইগ্রেস ব্যাটার মুর্শিদা খাতুনও।

আউটার মাঠে অনুশীলনের পর তিনি বলছিলেন, ‘দেখেন, ওরা তো আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে, অনেক ভালো। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে খেলে আসলো। ওরা অনেক ভালো আমাদের থেকেও। আমরাও মোটামুটি ভালো শেপে আছি ব্যাটার কয়েকজন। আমরা যদি নিজেদের প্রসেস অনুযায়ী খেলতে পারি, রোল অনুযায়ী খেলতে পারি ইন শা আল্লাহ ভালো কিছু হবে। ’

মুর্শিদা জয়ী হতে পারবেন কি না, এই উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে স্বাগতিক, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, ভারতীয় দলের মনোবলের চিড় কাজে লাগাতে পারলে সম্ভব দারুণ কিছু। পাকিস্তান সেটা করে দেখিয়েছে। টাইগ্রেসরা কি পারবে?

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।