চট্টগ্রাম: চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় ১১ মালিকের ১২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। হামলায় এসব ঠিকাদার জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও মালিকেরা হলেন- মেসার্স মাহমুদা বিল্ডার্স ও এসজে ট্রেডার্সের সাহাব উদ্দিন, মেসার্স বাংলাদেশ ট্রেডার্সের মালিক সঞ্জয় ভৌমিক, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ ফেরদৌস, মেসার্স জয় ট্রেডার্সের সুভাষ মজুমদার, মেসার্স খান করপোরেশনের মো. হাবিব উল্লা খান, নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. নাজিম উদ্দিন, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের মো. নাজমুল হোসেন, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. ইউসুফ, মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজের মালিক আশিষ কুমার দে ও হ্যাপী দে এবং মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজের আলমগীর।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ঠিকাদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিপিএ ধারা ৬৪ (৫) এবং পিপিআর বিধি ১২৭ (১) ক ও ১২৭ (২) ঘ মতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি বেলা পৌনে ৪টার দিকে নগরের টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালকের ৪১০ নং কক্ষে এই হামলা হয়। এ সময় প্রকল্প পরিচালকের নামফলক, টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন ঠিকাদাররা। গত ২৯ জানুয়ারি রাতে নগরের খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে এ ঘটনায় মামলা করেন। ঘটনায় পরপরই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি সাহাব উদ্দিনকে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে নগরের খুলশী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) বিভাগের একটি টিম।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
এআর/টিসি