ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের জন্য যারা মায়া কান্না করে সেই পাকিস্তান এখন দেউলিয়া

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
পাকিস্তানের জন্য যারা মায়া কান্না করে সেই পাকিস্তান এখন দেউলিয়া ...

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে অবৈজ্ঞানিক ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান বাঙালির আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সরাসরি ব্যর্থ হয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা।

মাত্র শতকরা ৭ ভাগ মানুষের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার অর্থই ছিল বাঙালিকে শৃঙ্খলিত করা। তাই বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য নয়, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বাঙালি জাতি ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে।
সেই লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের রাজনীতিতে প্রায় ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন। আন্দোলনের নানান রক্তঝরা বাঁক অতিক্রম করে একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তাই বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের রূপরেখা নির্দেশিত হয়েছিল।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের অর্থনীতিক মুক্তি চেয়েছিলেন এবং সেই পথেই এগিয়ে গিয়ে সোনার বাংলা বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালির হাতে আবারো শৃঙ্খল পরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন যারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল তাদের সেই স্বপ্নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছেন। জাতি আজ তার নেতৃত্বেই ঘুরে দাড়িয়েছে।  

তিনি বিএনপি-জামায়াতেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনো যারা পাকিস্তানের জন্য মায়া কান্না করেন ঐ দেশটি দেউলিয়া হতে চলেছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি আছে।  

নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশের কি হাল ছিল অর্থনীতিক উন্নয়নের কি চিত্র ছিল তার সাথে বর্তমান সরকারের আমলের অগ্রগতি ও উন্নতির তুলনামূলক পরিসংখ্যান জনগনের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্জনগুলো হয়েছে তার মাত্র ৫০ ভাগও যদি জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধু এই জাতীয়তাবাদী চেতনায় বাঙলি জাতির স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। যারা মনে করেছিল বাঙালির শৃঙ্খল মোচন হবে না, দাসত্বই নিয়তির পরিহাস। অথচ বাস্তব সত্য হলো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকেই মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা যারা চায়নি এবং এখনো যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না তারাই আবার জাতিকে দাসত্বের শৃঙ্খল পরিয়ে দিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।  

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন আহমেদ, মো. জাবেদ ও থানা আওয়ামী লীগের কাজী আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।