ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০ বছর আড়ালে থাকার পর ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
২০ বছর আড়ালে থাকার পর ধরা ...

চট্টগ্রাম: গণপরিবহনে পকেটমার ও আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা আবদুস সাত্তারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের ওয়্যারলেস মোড় থেকে আবদুস সাত্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

 তার দেওয়া তথ্যে নগরের জালালাবাদ এলাকা থেকে মো. ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়।

পিবিআই জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগর থেকে সীতাকুণ্ডগামী বাসে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছিলেন আবু ছৈয়দ (৫৪)।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ১ জানুয়ারি পিবিআই মহিন উদ্দিন (৩০), আনোয়ার হোসেন (৪২) ও রফিকুল ইসলামকে (৪২) গ্রেফতার করে। ওই হত্যা মামলা তদন্তে নেমে তারা তিনটি সক্রিয় অজ্ঞান পার্টির সন্ধান পায়, যার প্রতিটির সঙ্গে আবদুস সাত্তারের সম্পৃক্ততা আছে। নোয়াখালীর সেনবাগের একজন জনপ্রতিনিধি তাদের ‘গডফাদার’ বলে তথ্য দিয়েছেন আবদুস সাত্তার।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে একজন নিহতের ঘটনায় গত জানুয়ারিতে অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করি। আট মাস পর এসে আমরা আবদুস সাত্তারের তথ্য পেয়ে তাকেও গ্রেফতার করি। তার হেফাজত থেকে আমরা ১৩টি মোবাইল উদ্ধার করি। প্রতিটি মোবাইল লোকজনকে অজ্ঞান করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা ভিকটিমদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাদের মাধ্যমে আরও মামলা করা হবে।  

তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগর, উত্তর চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, ফেনী ও নোয়াখালীসহ আন্তঃজেলা বাসে ২০ বছর ধরে নির্বিঘ্নে অপরাধ করেছে আবদুস সাত্তার।  ২০ বছর আগে সাত্তার ছিল পকেটমার। এখন আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির সদস্য। ২০ বছর ধরে শতাধিক অপরাধে জড়িত থাকলেও ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি পুলিশের সন্দেহের তালিকায়ও সে ছিল না। অবশ্য বেশভূষা দেখে তাকে বোঝারও কোনো উপায় নেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, আবু ছৈয়দকে অজ্ঞান করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতার তিনজনের সঙ্গে সাত্তারসহ আরও দু’জন এ ঘটনায় জড়িত ছিল। আবু ছৈয়দের ঘটনার পর গত প্রায় এক বছরে তারা আরও ৭০টির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার আবদুস সাত্তার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ইসমাইলকে সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।