ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে জড়িত হানিফ গংয়ের সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে চবির সাদা দলের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে উজ্জীবিত শিক্ষক সমাজ সাদা দল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভূত্থানে পাওয়া নতুন এই বাংলাদেশে কোনো ধরেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নৈরাজ্যের স্থান থাকতে পারে না। হানিফ গং এর মত ফ্যাসিসষ্টদের দোসরেরা গত ১৬ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রেলগেইট এলাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাদক কারবারি, ভূমি দস্যুতা, ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসার ওপর একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।

গত জুলাই-আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সময়ে এই সন্ত্রাসী বাহিনী তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে একাত্নতা ঘোষনা করে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা ও নীপিড়নের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল।  

এদের প্রত্যক্ষ মদদে এবং তখনকার চবি প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় শিক্ষকদের বাসায় হামলা ও বোমাবাজির মত ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছিল। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে এসকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কেন গ্রেফতার না করে অবাধে আগের সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।  

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে, গত ২১ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হলেও সকাল ৮টা অবধি পুলিশ প্রশাসনের কোনো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে ছিলো না। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের একাধিক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঐ সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন একতাবদ্ধতা, সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলার সাহস এবং প্রক্টরিয়াল বডির সময়োচিত বলিষ্ট পদক্ষেপের কারণে বড় ধরনের সংকট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন মুক্তি পেয়েছিল।  

একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে প্রক্টরিয়াল বডি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে পারস্পরিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার নিমিত্তে 'সমন্বয় কমিটি' গঠন করে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের রহস্যজনক যে নির্লিপ্ততা তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে আহ্বান করছি।  

বিবৃতি সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হানিফ গং সহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল তাদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে সকল ধরনের অরাজকতার অবসান হবে এবং ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি সকলেই নতুন বাংলাদেশের প্রেরণায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েকে নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। "

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।