চট্টগ্রাম: মধ্য পৌষে জেঁকে বসছে শীত। প্রকৃতিতে বইছে হিমেল হাওয়া।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল বাংলানিউজকে জানান, দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শীতের তীব্রতা থাকলেও চট্টগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম। সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসলে শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে। কিন্তু চট্টগ্রামে এমন পরিস্থিতির সম্ভাবনা কম।
এদিকে শীত ও কুয়াশার দাপটে অসহায় অবস্থায় পড়েছে দিনে এনে দিনে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষেরা। তাদের রুজি-রোজগার কমে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে অনেকেরই কাজকর্ম জুটছে না। শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শীতের তীব্রতায় চট্টগ্রামে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। পাশাপাশি বন্দরনগরীর কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলোও জমজমাট। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, পাইকারি ও খুচরা মিলিয়ে এবারে চট্টগ্রামে হাজার কোটি টাকার শীতবস্ত্রের বিকিকিনি হবে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগও। আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সি মানুষ। বিশেষ করে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের প্রকোপে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স একদিন থেকে চার বছর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৫
এমআর/টিসি