বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সংগঠনের দারুল ফজল মার্কেট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান পাভেল।
সন্তান কমান্ড নগর সদস্য রিপন চৌধুরীর পরিচালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহকারী কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নগর যুবলীগ সদস্য এসএম সাঈদ সুমন, শেখ নাছির আহমেদ, মরহুমের ছেলে জাহেদ মুরাদ, কেন্দ্রীয় সন্তান সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম মনি, নগর আহ্বায়ক মসরুর হোসেন।
বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. মহিউদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন, বিবি গুলজান্নাত। উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা আশরাফুল গণি, মরহুমের ছেলে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাহেদ মুরাদ সাকু, যুবনেতা অলিউর রহমান সোহেল, জামালখান ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান, মহানগর যুবলীগ নেতা শেখ বশির আহমেদ, নগর ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদ, ইয়াছিন ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম আজাদ, মো. শেখ মহিউদ্দিন, মাকসুদ জামিল মারুফ, আশিক ইলাহী, মো. রানা, বন্ধন সেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাবেক এমপি এম কফিল উদ্দিন ছিলেন দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। আজকাল নবাগতদের ভিড়ে অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত, নিবেদিত, বর্ষীয়ান নেতাদের আমরা ভুলতে বসেছি। টাকার কাছে মূল্যবোধ স্বার্থের দ্বন্দ্বে অনেক মহৎপ্রাণ হারিয়ে যাচ্ছে। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তখন তিনি সিটি কলেজভিত্তিক অভিযাত্রীক সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে ৬ দফা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। অবিভক্ত চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হরিণা ইয়থ ক্যাম্পের ইনচার্জের দায়িত্ব থাকাকালে এক কাপড়ে তিন মাস কাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারবার জানতে চেয়েও চাওয়া পাওয়া সংক্রান্ত কোন আকাঙ্ক্ষা তার কাছ থেকে জানতে পারেননি। এমপি থাকাকালে বহু মানুষকে প্রবাসে চাকরির ব্যাপারে তিনি ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রামের দুঃখ চাক্তাই খাল এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নানা পরিকল্পনায়ও তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী হিসেবেও নেতা-কর্মীদের তিনি প্রিয়পাত্র ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এআর/টিসি