ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সালতামামি-২০২১

হালদা নদী ঘিরে সাফল্য ও ব্যর্থতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
হালদা নদী ঘিরে সাফল্য ও ব্যর্থতা ...

চট্টগ্রাম: বছরজুড়ে কুচক্রি মহলের চোখ থাকে হালদা নদীতে। একদল মাছ শিকারে ব্যস্ত, আরেক দল করছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার পরও দমানো যাচ্ছে না এসব অপরাধী চক্রকে।  

তবে এসব কিছুর মধ্যেও এ নদীর রয়েছে বিরাট সাফল্য।

রাখছে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান। গবেষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা কার্যক্রম। বিশ্বে প্রথমবারের মতো মাছ ও গাঙ্গেয় ডলফিনের জীবন রহস্য উন্মোচন করে সাড়া জাগিয়েছেন বিশ্বজুড়ে।

মাছ ও ডলফিনের জীবন রহস্য উন্মোচন

বিশ্বে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে রুই, কালবাউস, কাতলা, মৃগেল ও গাঙ্গেয় ডলফিনের। তবে এর আগে চীন-মৃগেল ও ভারত জিনোম সিকোয়েন্স করেছে কাতলা মাছের।

বিপন্ন প্রজাতির এই ডলফিন এবং কার্প জাতীয় মাছের জিন শনাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এনসিবিআই’র ডেটা ব্যাংকে জমা দিয়ে মিলেছে অনুমোদন।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরীয়ার নেতৃত্বে জিনোম সিকোয়েন্স এক্সপার্ট হিসেবে গবেষণায় কারিগরি সহায়তা দেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম জুনায়েদ সিদ্দিকী। গবেষণা কার্যক্রমে নিউজিল্যান্ড ও চীনের দুই গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী যুক্ত হন।

দুই বছরের গবেষণায় হালদা নদীর ৪টি কার্প জাতীয় মাছ ও মিঠা পানির ডলফিনের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করা সম্ভব হয়েছে। এতে মোট ৮২ হাজার ৭৮৮টি জিন শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে রুই মাছের ১৬ হাজার ৬০৯টি, কাতলা মাছের ১৬ হাজার ৫৯৭টি, মৃগেল মাছের ১৬ হাজার ৬০৭টি, কালবাউস মাছের ১৬ হাজার ৬২০টি ও মিঠা পানির ডলফিনের ১৬ হাজার ৩৬৫টি জিন শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গাঙ্গেয় ডলফিনের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

১১ প্যারামিটারে হালদার পানির গুণগত মান 

১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারে দেশের মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদার পানির গুণগত মান স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান হালদা গবেষক ড. সফিকুল ইসলাম। গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিনভর হালদায় সরেজমিনে পরিদর্শন, পাঁচটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ ও নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা শেষ করেন তিনি। হালদা গবেষক ড. সফিকুল ইসলাম জানান, হালদা আর কর্ণফুলীর সংযোগ অংশের কাছাকাছি মদুনাঘাট অংশে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ সামান্য কম থাকলেও তা আশঙ্কাজনক নয়। হালদার বিভিন্ন পানির গুণগত মান নিয়ে ড. সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হালদাতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন অংশে জেলেরা অবৈধভাবে মাছ ধরছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। নাজিরহাট, পেশকারহাট, সাত্তারঘাট, রামদাশ হাট, মদুনাঘাট পয়েন্ট থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। পাঁচটি পয়েন্টেই লবণাক্ততা নেই বললেই চলে। ফ্রি কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল যথাক্রমে ৮ মিলিগ্রাম/লিটার, ৬ মিলিগ্রাম/লিটার, ৯ মিলিগ্রাম/লিটার, ৮ মিলিগ্রাম/লিটার এবং ৯ মিলিগ্রাম/লিটার।  স্বাভাবিক কার্বনডাইঅক্সাইডের মাত্রা ৫ মিলিগ্রাম/লিটার থেকে ১০ মিলিগ্রাম/লিটারের মধ্যে ছিল। একইসঙ্গে অক্সিজেনের পরিমাণও স্ট্যান্ডার্ড মান ৫ মিলিগ্রাম/লিটার এর সামান্য ওপরে ছিল। শুধুমাত্র মদুনাঘাটে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম/লিটার, যা আশঙ্কাজনক নয়। মদুনাঘাট অংশটি কর্ণফুলীর সঙ্গে সংযুক্ত অংশের কাছাকাছি হওয়ায় এমনটা হয়ে থাকে। তবে অক্সিজেনের মাত্রা ২ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে নেমে গেলে মাছ মারা যাবে বলে মন্তব্য করেন এই হালদা গবেষক। পরীক্ষালব্ধ ফলাফল নিয়ে তিনি আরও বলেন, পানিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ, টোটাল হার্ডনেস, টোটাল অ্যালকালিটি, তাপমাত্রা, ট্রান্সফারেন্সি, পিএইচ, ইলেকট্রিক্যাল কনডাক্টিভিটি, টিডিএসের মান স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে ছিল।  

৭৪ প্রজাতির ফাইটোপ্লাংকটন

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাশিয়ান অ্যাকোয়াটিক বায়োরিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে হালদার ফাইটোপ্লাংকটন নিয়ে একটি একক গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি জলজ বাস্তুসংস্থানের জন্য ফাইটোপ্লাংকটন (উদ্ভিদ কণা) মুখ্য উৎপাদক। হালদায় এমন ৭৪ প্রজাতির ফাইটোপ্লাংকটন রয়েছে। একইসঙ্গে জু-প্লাংকটন (প্রাণিকণা) রয়েছে ৭১ প্রজাতির। জু-প্লাংকটন ফাইটোপ্লাংকটনকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। ছোট মাছকে বড় মাছ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এভাবেই জলজ বাস্তুসংস্থান পরিচালিত হয়। আবার এসব প্লাংকটনের উপস্থিতির মাধ্যমে বায়োলজিক্যালি পানির দূষণ পরিমাপ করা হয়।  

বেড়েছে ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা

হালদা নদীতে গত ৪ বছরে মৃত ডলফিন উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউএনডিপির সহযোগিতায় গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি ও বনবিভাগের পরিচালিত  জরিপের তথ্যানুযায়ী, হালদায় ৪৫টি ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া পাওয়া যায়। নদীর মোহনা থেকে সাত্তার ঘাট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকাকে ডলফিনের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জরিপের সুপারিশে, জরুরি উদ্যোগের মাধ্যমে ডলফিনের সংখ্যা দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করা যাবে উল্লেখ করা হলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এভাবে ডলফিনের মৃত্যু হতে থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে হালদা ডলফিনশূন্য হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন গবেষকরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের তথ্যমতে, হালদা নদীতে ২০১৮ সালের এক জরিপে ১৬৭টি গাঙ্গেয় ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দুই বছর পর ২০২০ সালে আরও একটি জরিপ চালিয়ে প্রায় ১২৭টি ডলফিনের অস্তিত্ব পায় এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ ২ বছরের ব্যবধানে ৪০টি ডলফিনের হদিস পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি ও বনবিভাগের পরিচালিত জরিপে ডলফিনের মৃত্যুর পেছনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। মাছ ধরার জাল, শিল্পকারখানার দূষণ ও যান্ত্রিক নৌ-যান। এসব বন্ধে বনবিভাগ ও মৎস্য অধিদফতরের সমন্বয়ে যৌথ টহলের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়। তা আজও বাস্তবায়ন করা যায়নি।  

বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা

মার্চে হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। হালদা নদী নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডলফিন পানিতে বসবাসকারী স্তন্যপায়ী প্রাণি। মানুষের মতোই ডলফিন ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়, বাচ্চা জন্ম দেয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাচ্চা দুধ পান করে।  

বাংলাদেশে সাত প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। যার মধ্যে গাঙ্গেয় ডলফিন মিঠাপানির নদীর প্রধান ডলফিন। এটি বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এবং সাঙ্গু-কর্ণফুলী-হালদা ও অন্যান্য কিছু নদীতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি হালদা নদীর পাঁচটি পয়েন্ট (নাজিরহাট থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত) থেকে পানি সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করে ১১টি প্যারামিটারে পানির গুণগতমান আদর্শ মানের মধ্যে পেয়েছি যা মাছ, ডলফিন এবং অন্যান্য জলজ প্রাণি বসবাসের উপযোগী। এছাড়া হালদা নদী থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত মৃত ডলফিনের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হালদা নদীতে ডলফিন মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে- অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত জাল বিশেষ করে কারেন্ট জালে আটকা পড়ে ডলফিনের মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কিছু কারণ সম্পৃক্ত।  

জাতীয় মৎস্য পুরস্কার

হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধিতে পোনা অবমুক্তকরণ এবং হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষণায় বিশেষ অবদানসহ হালদার পাড় রক্ষায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করায় মৎস্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় মৎস্য পদক ২০২১ পেয়েছেন রাউজানের এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।  

হালদা নদী রক্ষায় সিসিটিভি ক্যামেরা

গত ১৩ মার্চ হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আটটি পয়েন্টে বসানো হয় ক্লোজ সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) ক্যামেরা। অবৈধ জাল পেতে মা মাছ নিধন রোধ, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ, বালু উত্তোলন বন্ধ ও ডলফিন রক্ষায় হালদা নদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে এসব ক্যামেরা বসানো হয়। আটটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন (পিটি জেড, ৩৬০ ডিগ্রি, ২ কিলোমিটার জুম) ক্যামেরার মাধ্যমে মদুনাঘাট থেকে আমতোয়া পর্যন্ত মনিটরিং করা হচ্ছে। এসব সিসিটিভি ক্যামেরা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে স্মার্টফোন এবং একাধিক ডিভাইস দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।

হালদা চত্বর

গত ২৫ জুন হাটহাজারী উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিনের উদ্যোগে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের হালদা নদীর নয়াহাট কুমের (নদীর বাঁক) হালদা নদীর পাড়ে একটি বসার স্থান (হালদা চত্ত্বর) নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছর নদীতে মা মাছ ডিম দেওয়ার খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে আসেন, এছাড়াও আসেন হালদা গবেষক, বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সময়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এর বাইরেও আসেন ভিআইপিরা। অথচ হালদা পাড়ে সুনির্দিষ্ট কোনও বসার স্থান বা ঠিকানা ছিল না। পরে সেখানে স্থাপিত হয় হালদা চত্বর।

থামানো যাচ্ছে না বালু উত্তোলন

বালু উত্তোলন আর হালদার পাড় কেটে মাটি বিক্রির ব্যবসা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যার কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে হালদা। প্রায় সময়ই হালদার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। আওয়ামীলীগ-বিএনপি-জামায়াত মিলে গড়ে উঠেছে শক্ত সিন্ডিকেট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও থামানো যাচ্ছে না এ সিন্ডিকেটকে। অথচ হালদা নদী থেকে বছরে সরকারের আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বেড়েছে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানও। হালদার এমন উন্নতি দেখে নদীর প্রতি ভালবাসা প্রখর হয়েছে স্থানীয়দের। যার কারণে হালদার ক্ষতি হয় এমন কাজ দেখলেই প্রতিবাদী হন তারা। নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগে। তবে প্রশাসনের অভিযানে কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও বালু ও মাটি উত্তোলন করছে সেই সিন্ডিকেট। দিন-রাত সমানে চলছে বালু-মাটি নিয়ে ব্যবসার মহাযজ্ঞ। অতিরিক্ত বালু ও মাটি কাটার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে হালদা নদীর মৎস্য ক্ষেত্র, ভূজপুর রাবার ড্যাম। হালদা নদী ভাঙন রোধে চলমান সিসি ব্লক স্থাপন ও বেড়িবাঁধ স্থাপনে ১৫৭ কোটি টাকার প্রকল্পও ভেস্তে যেতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। হাইকোর্টের নির্দেশে হালদা নদীর সব বালুমহাল ইজারা প্রদান, বালু ও মাটি তোলা, চর কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু এই বিধি-নিষেধ অমান্য করে ফটিকছড়ি ও ভূজপুর এলাকার বিশাল একটি সিন্ডিকেট নির্বিচারে রাত-দিন বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু পরিবহনে নদীর পাড় ও চর কেটে সড়ক নির্মাণ, বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।