চট্টগ্রাম: মরহুম অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অত্যন্ত সজ্জন ও বিনয়ী ব্যক্তি ছিলেন। উনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে আদালতপাড়ায় খ্যাতি ছিল।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বাবা অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রামস্থ রাঙ্গুনিয়া সমিতি ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
রাঙ্গুনিয়া সমিতির আহ্বায়ক প্রফেসর নুরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর সেকান্দর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, মরহুমের ছেলে শিক্ষানুরাগী খালেদ মাহমুদ, আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ ও সিএসকে সিদ্দিকী প্রমুখ।
চসিক মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে অত্যন্ত দুর্দিনে আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে জেলে ছিল। আমাদের টাকা পয়সা নেই, সেই সময়ে কিছু আইনজীবী ছিল আমাদের যারা আইনি সহায়তার পাশাপাশি অর্থ সহায়তাও দিতেন। তাদের মধ্যে নুরুচ্ছফা তালুকদার ছিলেন অন্যতম।
তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে হলে নুরুচ্ছফা তালুকদারের অবদান বাদ দিয়ে লেখা যাবে না। অকৃপণচিত্তে স্মরণ করতে হবে তাঁর অবদান, আজ তিনি দুনিয়ায় নেই, তবে তিনি যোগ্য সন্তানদের রেখে গেছেন। নুরুচ্ছফা তালুকদারের মতো ব্যক্তিরা সমাজকে শাণিত করেছেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর্মগুণে অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার সর্বগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে অমর হয়েছেন। এই কীর্তিমান ব্যক্তি সমাজের আলোকিত মশাল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন। তাঁর আদর্শের সেই আলোকে ধারণ করে এগিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
এআর/টিসি