চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা তৎকালীন চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর দুপুরে তৃতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করার জন্য হাজির হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনের মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেছেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আগামী ২ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নোমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবু জাফর, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দীন, অ্যাডভোকেট আবু ঈসা ও অ্যাডভোকেট হোসেন মোহাম্মদ সাফায়াত।
২০১৫ সালের ৭ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটকের পর সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এমআই/টিসি