চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে রিটু আইচ নামে এক যুবককে হত্যার মামলায় সুপ্লব চৌধুরী প্রকাশ বাবু নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সুপ্লব সীতাকুণ্ড থানার উত্তর মছজিদ্দার সুলতানা মন্দির সেন বাড়ির সুনীল চৌধুরীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে দ্বিতীয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সারওয়ার আলমের আদালত এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সুপ্লব তার বন্ধু রিটু আইচের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর মাথাবিহীন শরীর ও মাথাটি সিকদার বিলে ফেলে চলে আসেন। ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পরে সুপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। রিটু আইচের ভাই টিটু আইচ ঘটনার পরদিন হত্যা মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই সুপ্লব চৌধুরীকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
যাকে হত্যার অভিযোগে এ মামলা হয়েছিল, সেই রিটু আইচের বয়স সে সময় ছিল ২৮ বছর। তার বাবার নাম পরিতোষ আইচ। বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় বন্ধুত্ব ছিল সুপ্লব ও রিটুর মধ্যে। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর রাতে রিটু আইচকে হত্যা করা হয়। স্বর্গে যেতে পারবেন এমন ধারণাতেই বন্ধু রিটু আইচকে হত্যা করে সুপ্লব চৌধুরী। স্বপ্নে তিনি এমন ধারণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার আগে পরিকল্পনা মতো বাজার থেকে একটি দা কিনে রাখেন। সুযোগ বুঝে একদিন মন্দিরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে গভীর রাতে পেছন থেকে কুপিয়ে বন্ধুকে হত্যা করেন সুপ্লব। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অজয় বোস রিংকু বাংলানিউজকে বলেন, সীতাকুণ্ডের রিটু আইচ নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে সুপ্লব চৌধুরী বাবু নামে এক আসামিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০১ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এমআই/টিসি