চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে দ্রুতগতিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আনা হলো নতুন দুইটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি)। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে চীন থেকে কিউজিসি নিয়ে আসা জাহাজটি বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দরের এনসিটি-৫ জেটিতে ভিড়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক দুইটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) এবং তিনটি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেন নিয়ে জাহাজটি জেটিতে ভিড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে এনসিটিতে নিয়ে আসেন বন্দরের ৩ জন অভিজ্ঞ পাইলট ক্যাপ্টেন আসিফ আহমেদ, ক্যাপ্টেন আবু সাইদ মো. কামরুল আলম এবং নূর আলম সিদ্দিকী। বন্দরের নিজস্ব শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী ৬, ৮, ১০ ও ১১ এবং মুরিং বোট এনএমএল-১ ও আজমত জাহাজটি বার্থিংয়ের কাজে সহায়তা করে। এ সময় বন্দর চ্যানেল নৌযান চলাচল সীমিত করা হয়।
এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতি বাড়বে উল্লেখ করে সচিব বলেন, চীনে তৈরি নতুন দুইটি কিউজিসি ও তিনটি আরটিজি আনলোড, ফিটিং, ট্রায়াল শেষে যত দ্রুত সম্ভব এগুলো অপারেশনে যাবে। এর আগে গত ৭ মে বন্দরে যুক্ত হওয়া কিউজিসি ও আরটিজি দিয়ে অপারেশন চলছে।
শনিবার (৭ মে) এসব কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে আসা ‘জেন হুয়া ১২’ জাহাজটি দুইটি শক্তিশালী টাগবোটের সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৫ নম্বর বার্থে আনা হয়।
বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ক্যাপ্টেন তানভির বাংলানিউজকে বলেন, এনসিটির জন্য নতুন দুইটি কিউজিসি ও তিনটি আরটিজি এসেছে। এ নিয়ে সিসিটিতে ৪টি, এনসিটিতে ১৪টি কিউজিসি হচ্ছে। এনসিটির ১ নম্বর জেটিতে ২টি, ২-৫ নম্বর জেটিতে ৩টি করে কিউজিসি বসবে। নতুন আরটিজিসহ বন্দরের সিসিটি ও এনসিটিতে আরটিজি হচ্ছে ৪৫টি। আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে।
গত ৭ মে ‘জেন হুয়া ১২’ জাহাজে বন্দরে পৌঁছেছিল দুইটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) ও তিনটি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি (আরটিজি)।
চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটিতে প্রথম গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। এরপর ২০১৭ ও ১৮ সালে গ্যান্ট্রি ক্রেন আনা হয় এনসিটি ২, ৩ ও ৪ নম্বর বার্থের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এআর/টিসি