চট্টগ্রাম: ভিয়েতনামের ৩২ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বিজনেস নেটওয়ার্কিং মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চিটাগাং চেম্বার এবং ভিয়েতনামের ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যালায়েন্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম একটি সম্ভাবনাময় স্থান। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সামনের দিনগুলোয় এটা বাড়বে।
বাংলাদেশ উভয়দেশের মধ্যে ২০২১ সালে ২ বিলিয়ন ডলারের যে বাণিজ্য আশা করেছিলেন কোভিড অতিমারির কারণে তা পূরণ না হলেও সামনের দিনগুলোতে তা অর্জিত হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দুদেশের ব্যবসায়ীরা চাইলে বিনিয়োগের মাধ্যমেই এই ঘাটতি দূর করতে পারে।
চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।
এ ছাড়া চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এ অংশগ্রহণের জন্য ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের আকাশপথে সরাসরি কোনো প্লেন নেই। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-হ্যানয় সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। যার ফলে গতি আসবে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্কে।
ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু কিয়ক হাং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখনও তথ্য ঘাটতি রয়েছে।
এ অবস্থার উন্নয়নে তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই সম্পর্ককে সামনে রেখে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে ভিয়েতনামে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
বিভিসিসিআই’র সভাপতি এসএম রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সীফুড, লেদার ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে ভিয়েতনামে। এ ছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর) ও মো. ইফতেখার ফয়সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক মো. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাটাচে ও রাষ্ট্রদূতের পিএস নগুয়েন ভিয়েত আনহ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, উইম্যান চেম্বার, অ্যাগ্রো সেক্টর, ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারার, ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী, আমদানিকারকসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতারা। উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এআর/টিসি