ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবার বারানসির ধাঁচে কলকাতায় হবে গঙ্গারতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এবার বারানসির ধাঁচে কলকাতায় হবে গঙ্গারতি

কলকাতা: এবার বারানসির ধাঁচে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড়মঠেও হবে গঙ্গারতি। এমনই ঘোষণা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়।

পরে কালীঘাটেও এ ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কলকাতার গঙ্গার ঘাটে একাংশে গঙ্গা আরতি করে থাকেন হিন্দু সম্প্রদায়েরা, তবে বারানসির ধাঁচে নয়।

মূলত, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারানসির ঘাটে সর্বদা তীর্থযাত্রীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। বারানসির গঙ্গার এমন একটা ঘাট যেখানে জীবন-মৃত্যু একসাথে দেখা যায়। রোজ সকালে প্রাতঃপ্রণাম, সূর্যোদয় দেখে একাধারে জীবন শুরু হয়। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্র-মণিকর্ণিকার শ্মশান সর্বদা জ্বলতে থাকে চিতা। দেশি-বিদেশি মানুষের ভিড়ে সর্বদা প্রাণবন্ত হয়ে থাকে বারানসির ঘাট।  
এই ঘাটের মুখ্য আকর্ষণ হল সন্ধ্যাকালীন গঙ্গারতি। শত শত প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে গঙ্গার ঘাট। নৈমিত্তিক এই আয়োজনে গঙ্গারতি অন্য কোথাও দেখা যায় না। সন্ধ্যার গঙ্গারতির সৌন্দর্য দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে এক অন্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেই ধরনের গঙ্গারতির কথা বলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

বুধবার গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। ববিকে বলব (মেয়র ফিরহাদ হাকিম) কাল থেকে কাজ শুরু করতে। ধীরে ধীরে দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড়মঠের ঘাটেও গঙ্গারতির দিকে এগোব আমরা।

তিনি জানান, ঘাটে মানুষ শান্তির জন্য আসেন। গঙ্গারতি দেখতে সবাই আসতে পারেন। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছা করলেই আরতি করতে পারেন না। যারা সত্যই গঙ্গারতি জানেন, তাদের দিয়েই আরতি করাতে হবে, যাকে-তাকে দিয়ে নয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গঙ্গাপূজা করা নিয়ে বিজেপি ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে সংঘাত বাঁধে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই গঙ্গারতি করার চেষ্টা করেন সুকান্ত। পুলিশের কাছে আগে অনুমতি চাইলেও, তা দেয়নি পুলিশ।

যে কারণেই এদিন মমতা ঘুরিয়ে বলতে চেয়েছেন, পুরোহিত ছাড়া হিন্দুত্বের ধ্বজা ধরে যাকে-তাকে দিয়ে গঙ্গারতি করানো ঠিক নয়।

এদিন গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাহাবাদের কুম্ভমেলার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, কুম্ভমেলা হয়ে গেল জাতীয় মেলা। কেন্দ্র সরকার আর্থিক সাহায্য দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরের জন্য কোনো সহায়তা দেওয়া হয় না। পুরোটাই আমরা করি। আগে মেলায় যেতে ট্যাক্স দিতে হত সাধারণ মানুষকে। আমরা সেটা তুলে দিয়েছি। আগে কিছু ছিল না। আমরা অতিথিশালা গড়ে দিয়েছি। সাগরে আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, ফায়ার ব্রিগেড রয়েছে। আমরা তো বলবই, বিশ্বাস না হলে নিজের চোখে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
ভিএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।