কলকাতা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অনৈতিক কার্যকলাপের বিরোধিতা করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা।
আমেরিকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আকেরলফসহ ৩০০ জন অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ ও বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চিঠিতে সই করেছেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা লিখেছেন, উপাচার্য রাজনৈতিক এক প্রভুকে তোয়াজ করে চলেন। সেই কারণেই অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ভারতে এখন যে সরকার চলছে, তাদের সঙ্গে অধ্যাপক সেনের মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। সেই ফারাককে পুঁজি করেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিজেপিকে তুষ্ট করতে এ ধরনের আচরণ করে চলেছেন। তারা চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আপনি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
ম্যাসচুসেটসের অর্থনীতির কিংবদন্তি অধ্যাপক জেমস কে বোয়েস, জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক জেনাইন রডগার্সের মতো শিক্ষাবিদও চিঠিতে সই করেছেন। আবার জেএনইউয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়কও আছেন তালিকায়।
এছাড়া, ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরসহ স্থানীয় লোক, বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী ও প্রাক্তনরাও এই চিঠিতে সই করেছেন।
শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে মূল সংঘাত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ওই জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। অমর্ত্যর দাবি, পৈতৃকভাবে এ সম্পত্তি তার প্রাপ্য। রাজ্যের ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দপ্তরের নথিতেও তা উল্লেখ আছে। এসব নথি অমর্ত্যকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে এ সংক্রান্ত মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন। আগামী ১৩ জুন সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ