ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮ মহররম ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ আগস্ট

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৮ আগস্ট ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় আগরতলার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার শরদিন্দু চৌধুরী এ কথা জানান।

তিনি জানান, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৮ জুলাই। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১৯ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ জুলাই। আর ৮ আগস্ট স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ আগস্ট এর মধ্যে সব নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ১১ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ভোট হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে। একজন ভোটার তিনটি ভোট দিতে পারবেন। এর জন্য তিনটি আলাদা রঙের ব্যালট পেপার থাকবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য সাদা রঙের, পঞ্চায়েত সমিতির জন্য গোলাপি রঙের এবং জেলা পরিষদের জন্য সবুজ রঙের ব্যালট পেপার থাকবে।

রাজ্যের ৮ জেলার জেলা শাসকরা জেলা নির্বাচন আধিকারিকের (ডিইও) দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি জেলা পরিষদের আসনগুলোর রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। ৩৫টি ব্লকের বিডিওরা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনগুলোর রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, রাজ্যে ৬০৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ হাজার ৫১৭টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৩৭০টি আসনের, ৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪২৩টি কেন্দ্রের ৪২৩টি আসনের এবং ৮টি জেলা পরিষদের ১১৬টি কেন্দ্রের ১১৬টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ১৫৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৫ জন, নারী ভোটার হচ্ছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন এবং অন্যান্য ভোটার ১১ জন। পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে কোনও ভোটারই যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত না হন সেই লক্ষ্যে ভোটার তালিকায় নাম থাকা যে কোনও ব্যক্তি বিকল্প নথি দেখিয়েও ভোট দিতে পারবেন।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার শরদিন্দু চৌধুরী জানান, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে উত্তর ত্রিপুরায় ৩৪৭টি, ঊনকোটি জেলায় ২৩৪টি, ধলাই জেলায় ১৬৮টি, খোয়াই জেলায় ২৪২টি, পশ্চিম জেলায় ৪৫১টি, সিপাহীজলা জেলায় ৫৩৭টি, গোমতী জেলায় ২৭৯টি এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৯২টি ভোটকেন্দ্র খোলা হচ্ছে।  

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেসব জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে সেখানে আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা নির্বাচন আধিকারিক, রিটার্নিং অফিসাররা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। তিনি সব নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) এল ডার্লং জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সসহ (সিএপিএফ) ত্রিপুরা পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব অসিত কুমার দাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।