ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তারকা চক্র

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪
তারকা চক্র নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারণায় বলিউড তারকা সালমান খান

না, আঁচ‍ালে বিশ্বাস নেই সালমান খানের। আবার বিয়ের বাজনা বাজাচ্ছেন।

বলছেন, এবার বিয়ে করবই। সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, আগে করুন, তারপর দেখা যাবে। সালমানের ‍পাল্টা চাপ—প্লিজ, আপনারা আমার প্রেমিকাকে নিয়ে কচকচি করে, বিয়েটা কেঁচিয়ে দেবেন না। এ তো মারাত্মক অভিযোগ। তার মানে এতদিন যে সালমানের বিয়ে হয়নি, তার জন্য সাংবাদিক দায়ী। বিজেপির নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে নরেন্দ্র মোদীর পাশে সালমানকে দাঁড়াতে দেখে সাংবাদিকরা অবাক। আরও বিস্ময় পরের ঘটনায়। স্টেজ থেকে নেমে মোদীকে বললেন, আপনি রিকোয়েস্ট করেছিলেন, তাই আপনার পাশে দাঁড়িয়েছি। তার মানে এই নয়, আমি আপনাদেরই ভোট দেব।

 

জয়া বচ্চনের গায়ের জ্বালা মিটছে না। সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত সে শান্ত হওয়ার নয়। সোনিয়া যত বড় নেত্রীই হোন, বচ্চন পরিবারকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার সাহস পান কোত্থেকে। মুনায়েম সিং যাদবের অনুগ্রহে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য তিনি। সংসদে সোনিয়ার মুখোমুখি হলে মুখ সরিয়ে নেন। অমিতাভ, বন্ধু রাজীব গান্ধীকে কিছুতেই ভুলতে পারেন না। একসময় কংগ্রেসের টিকিটে এলাহাবাদ থেকে নির্বাচিত। দ্বিতীয়বার রাজনীতির রাস্তা মাড়াননি। বলেছিলেন, ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়। নির্বাচনী প্রচারে সমাজবাদী পার্টি তাঁকে ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দেননি।

Priyanka_Shahrukh

 

জয়ার ধারণা, বন্ধু রাজীবের জন্যই অমিতাভ এখনও কংগ্রেসের প্রতি দুর্বল। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন। বিশেষ করে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া, পুত্র অভিষেক অমিতাভ অন্তপ্রাণ। সেটা জেনেই জয়া ঘোষণা করেছেন, ভোট দেওয়ার সময় কেউ যেন পারিবারিক মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব ভুলে না যায়।

 

বিজেপি সাংসদ হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। এবারে আর নয়। বিজেপিকে জানিয়েছেন, “শোলেতে গব্বর সিংয়ের সঙ্গে যে লড়াইটা করেছিলাম সেটা ছিল অভিনয়। রাজনীতির যুদ্ধটা বড়বেশি বাস্তব। শরীর-মনের শক্তি লাগে। এখন তাতেই ঘাটতি। তাই বিদায় নিচ্ছি। ” স্ত্রী হেমা মালিনী কিন্তু এখনও পুরোদস্তুর লড়াইয়ে। মথুরায় ফের বিজেপি প্রার্থী। প্রচার মঞ্চে উঠছেন ত্রিশূল নিয়ে। বলছেন, এই দিয়েই অসূর নাশ করব। আমি দুর্গতিনাশিনী।

 

লড়াইয়ে আছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রয়াত পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। হক পরিবারের সবাই ছিলেন শত্রুঘ্নের ফ্যান। নিয়মিত আমন্ত্রিত হয়ে জিয়াউল হকের গলফ কোর্সে গলফ খেলতেন। অমিতাভ বচ্চনের আবির্ভাবে শত্রুঘ্নর ফিল্মি ক্যারিয়ার চিরতরে চৌচির। নাম বাঁচাতে আশ্রয় নেন বিজেপিতে। সাংসদ ছিলেন। আবার হতে চাইছেন। প্রার্থী সেই বিহারের রাজধানী পাটনা থেকেই। মেয়ে সোনাক্ষীকে ডেকেছিলেন প্রচারে। মেয়ের সাফ জবাব, অভিনয় অঙ্গনে বেশ আছি। রাজনীতির কাদা গায়ে মাখতে চাই না।

 

কিরণ খের বলেছেন, অনুপম আমার বয়ফ্রেন্ড আবার গার্লফ্রেন্ডও। তার সঙ্গে সব অনুভূতি, কথা নিঃসঙ্কোচে শেয়ার করতে পারি। আমি চণ্ডীগড় থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছি তার ভরসায়। টিভি’তে আমার হয়ে প্রচার করছে। লোকে শুনছে। বিশ্বাসও করছে। মনে রাখবেন যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে মনেপ্রাণে ভালবাসে, বিশ্বাস করে, তাকে অন্যরাও মানতে বাধ্য।

aamir_khan_AAP

 

নানা পাটেকরের পছন্দ শিবসেনা। তাই বলে প্রার্থী হওয়া বা প্রচারে যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি তার। পরেশ রাওয়ান বিজেপি প্রার্থী, খোদ নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদ পূর্ব থেকে।

 

অজয় দেবগনের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ স্ত্রী কাজল। অজয় নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে গুজরাটে ২০৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে বিশাল অঙ্কের টাকা লগ্নি করায় চটেছেন কাজল। তাঁর বক্তব্য,  এত লোক থাকতে অজয় শেষে মোদীর পাল্লায় পড়ল। অজয়ের সাফাই, আমি তো ব্যবসা করছি, রাজনীতি নয়। কাজল চটে বলছেন, তোমার যা মন চায় তাই কর। আমি এসবের মধ্যে নেই।

 

ভোটের মুখে এক চোট হয়েছে অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্নার মধ্যে। অক্ষয় মোদীর প্রশংসা করায় বেজায় চটেছেন টুইঙ্কল। বলছেন, রাজেশ খান্নার মেয়েজামাই হয়ে বিজেপির পা চাটতে লজ্জা করে না। বাবা বরাবর কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন। আমার মা-বোন কংগ্রেস ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না, ভোটে কিন্তু তোমার-আমার রাস্তা আলাদা।

 

কাপুর পরিবার চিরকালই কংগ্রেসের সঙ্গে। রণবীর কাপুর বলেছেন, আমার আর নতুন করে কিছু ভাবার নেই। আমীর খান আম আদমি পার্টিকে পছন্দ করলেও রাজনীতি থেকে দূরেই আছেন। প্রিয়াঙ্কা আর রবার্টের ঘনিষ্ট বন্ধু শাহরুখ খান। সুযোগ পেলেই জমজমাট আড্ডা। স্ত্রী গৌরিও যোগ দেন। তাই বলে রাজনীতির রাস্তায় কখনই নয়। প্রশ্ন ছিল, প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হলে কী প্রচারে নামতেন? তাঁর জবাব, উনি প্রার্থী হলে তখন দেখা যাবে। শাহরুখ কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ফ্যান। পশ্চিমবঙ্গের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডারও তিনি।

 

** হার মানা হার

**চোখ ছলছল ছিটমহল

 

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।