ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

প্রেমের ফান্দে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৪
প্রেমের ফান্দে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী

নরেন্দ্রমোদীর বিবাহ বিতর্কে তবলা বাজিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। বোলে খুশির লহর।

বিধ্বস্ত বিজেপি। গান্ধী টুপি খুলে তাঁকে কুর্নিশ করেছিলেন সতীর্থরা। দিগ্বিজয়ের জয়জয়কার, দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই তিনিই যে চূড়ান্ত পরাজয়ের সম্মুখীন হবেন কে জানত। মিডিয়ায় ফাঁস দিগ্বিজয় আর সাংবাদিক অমৃতা রাইয়ের ঘনিষ্ঠ ছবি। চোখে পড়তেই তেলে-বেগুন, জ্বলে আগুন দিগ্বিজয়। পাক্কা রাজনীতিক তিনি। রাগ দেখিয়ে কাজ হবে না জেনে ভোল পাল্টালেন। সরাসরি স্বীকার করলেন সম্পর্কটা। ভাবখানা এমন, প্রেম করেছি, বেশ করেছি, করবই তো।

প্রেমিক হওয়ায় পাপ নেই। প্রেমে পড়ে দিগ্বিজয় কোনও অন্যায় করেননি। কংগ্রেস নেতাদের অনেকের মত, প্রণয়ের ব্যাপারটা গোপন রেখেই ভুল করেছেন। এধারণাটাও ভ্রান্ত। প্রেম প্রথমে গোপনে শুরু হয়। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে। প্রেমে পড়া মানেই ফান্দে পড়া। এখন ফান্দে পড়িয়া দিগ্বিজয় কান্দে, অন্যেরা হাসে।

ভালোবাসলে জ্বালা, না বাসলে আরও জ্বালা। দিগ্বিজয়ের বিশেষত্ব, তিনি প্রেমে ব্যর্থ নন, জয়ী। প্রেম করে জয়ী হন, কেমন করে হন চেয়ে বড় কথা, রেজাল্টটা কী। চূড়ান্ত পরিণতি পাচ্ছে, না মাঝখানে ছিঁড়ে যাচ্ছে। দিগ্বিজয় জানিয়েছেন, পরিণতি পাচ্ছে। মানে, বিয়ে হচ্ছে। দু’মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রী আশাকে হারিয়েছেন দিগ্বিজয়। পত্নী বিয়োগের ৬০ দিনের মধ্যেই নতুন প্রেম সচরাচর দেখা যায় না। সেদিক থেকে অসাধ্য সাধন করেছেন দিগ্বিজয়। মনের শূন্যস্থান পূর্ণ করেছেন নিমেষে।

প্রেম যদি গেম হয়, দিগ্বিজয় কিন্তু বুদ্ধ খেলোয়াড়। বয়স ৬৮। বেশি এজেও রোমান্টিক ইমেজ বজায় রেখেছেন। প্রেমিকা অমৃতার বয়স অনেক কম। বলতে গেলে, দিগ্বিজয়ের কন্যার বয়সী। চল্লিশ ক্রস করেনি। দিগ্বিজয়ের চারকন্যা, এক পুত্র। পুত্র রাজ্যবর্ধন মধ্যপ্রদেশের রাখেয়গড় কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ভোটে হারলে যে বাবার বিয়েকে দোষ দেবেন না, এমন কথা হলফ করে বলা দুঃসাধ্য। সন্তানরা বাবার বিয়ের ব্যাপারে এখনও নীরব।

অমৃতাও বিবাহিতা। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। অমৃতার স্বামী নিরুদ্বিগ্ন। তিনি জানিয়েছেন, অমৃতার স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তাহলে আর বাকি কী রইল। পুরোন বাদ, নতুন স্বাদ।

দিগ্বিজয় একা নন যে যা খুশি করলে মিটে যাবে। তিনি কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা। মধ্যপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছেন এক সময়। ভোটের মুখে, তাঁর মতো মানুষের প্রেম-প্রণয় কী ভাল দেখায়। মধ্যপ্রদেশ এখন বিজেপির হাতে। রাজ্যের লোকসভায় আসন ২৯। বিজেপি ১৬, কংগ্রেস ১২, মায়াবতীর বাহুজন সমাজ পার্টি ১। ভোটের হিসেবে বিজেপির থেকে ৩ শতাংশ কম কংগ্রেস। এবারের ভোটে বিজেপি যদি ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়, বিপদে পড়বে কংগ্রেস। তাদের আসন আরও কমবে। লাভবান হবেন মোদী। এ নির্বাচনে একটি আসনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ফল খারাপ হলে, সোনিয়া গান্ধী কী দিগ্বিজয়কে ছেড়ে দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।