ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে নতুন শক্তি বিজেপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
পশ্চিমবঙ্গে নতুন শক্তি বিজেপি

কলকাতা: ঠিক ১০ বছর আগের একটা চিত্র যেন উল্টোভাবে ফিরে এলো ২০১৪ সালের পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে। সময়টা ২০০৪ সাল, সেদিন লোকসভায় ১টি মাত্র আসন জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

৩৫টি আসন পেয়েছিলো বামফ্রন্ট। আর ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ৩৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস আর অপরদিকে ২টি আসন পেয়েছে বামফ্রন্ট।

বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনের সঙ্গে বিশেষ অর্থবহ বলে মনে হচ্ছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪টি আসনে জয়ের অঙ্কটা।

রাজ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৪টি আসন, ২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ভোটের শতাংশের হিসাবে যদি নজর রাখা হয়, তবে দেখা যাবে- ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম, সিপিআই, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক মিলিয়ে বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৩৯.৬৮ শতাংশ ভোট। যেখানে ৩৮.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় কংগ্রেস পেয়েছিল ৯.০৯ শতাংশ ভোট এবং বিজেপি পেয়েছিল ৪.০৬ শতাংশ ভোট।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট পেয়েছে ২৯.৬০ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৭.৩০ শতাংশ, কংগ্রেস পেয়েছে ৯.৬০ শতাংশ ভোট আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৩৯ শতাংশ ভোট।

অর্থাৎ পরিষ্কার, বামফ্রন্টের একটা বড় অংশের ভোট গেছে বিজেপির ভোটবাক্সে। শুধু তাই নয়, যদি বিধানসভাভিত্তিক হিসাব দেখা যায়, তবে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকায় বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, একাধিক মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায়ও এগিয়ে গেছে বিজেপি।

ফলাফলের প্রবণতা দেখে বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে নতুন শক্তি হিসেবে উঠে এলো বিজেপি। যার প্রভাব বাড়বে আগামী কলকাতা পুরসভা এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।

এর সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিষয় সামনে চলে এলো। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে আরও চাপের মধ্যে পড়বে বামদলগুলি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ১৭ মে , ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।