ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তৃণমূলের কলকাতার ভোটে বড় থাবা পদ্মফুলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৪
তৃণমূলের কলকাতার ভোটে বড় থাবা পদ্মফুলের

কলকাতা: সংগঠন বাড়িয়ে আগামী কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। এই বিষয়েই বিজেপি নজর দিচ্ছে বলে জানান তিনি।



পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা ততটা জোরালো নয়। । ২টি আসন জেতার মূল কারণ এবং কাণ্ডারি একজনই। তিনি নরেন্দ্র মোদী। আর এই ‘মোদী’ নামক কালবৈশাখীর ধাক্কাতেই পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য রাজ্যের প্রায় সবকটি আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তৃণমূল কগ্রেসের।

এ কারণে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পরে আঞ্চলিক দল থেকে জাতীয় দলে ওঠার চেষ্টায় সফল হয়নি তৃণমূল কগ্রেস।  

তাই মোদী হাওয়ায় ভর করেই রাহুলরা বাড়িয়ে নিতে চাইছেন তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা। আর এ ব্যাপারে বিজেপি বেশ আশাবাদীও। আশাবাদী হবেন নাই বা কেন! খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায়ই যে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করেছে বিজেপি।

যদিও ভোটের সংখ্যাটা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু যেটা লক্ষণীয় সেটা হল, বিজেপি যে পরিমাণ ভোট মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় বাড়াতে পেরেছে সেটা রাহুল বাবুদের জন্য যথেষ্ট আশার কথা। শুধু বিধান সভা এলাকায় কেন, মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পৌরসভার যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেখানেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

এর থেকে বোঝা যাচ্ছে আগামী কলকাতা পৌর-ভোটে  তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাবে বিজেপি। আর সেই কারণেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির সংগঠন মজবুত করার দিকে এই আগ্রহ।

তবে কলকাতার বুকে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বিধান সভাতেই নয়, কলকাতার সাবেক মেয়র বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি কলকাতা পৌরসভার যে ওয়ার্ডে সেখানেও এগিয়ে আছে বিজেপি। বর্তমানে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বোন এই ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি।

কলকাতার আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা। তিনি কলকাতা পৌরসভার যে জায়গা থেকে নির্বাচন লড়তেন সেখানেও বিজেপি এগিয়ে গেছে। বর্তমানে অরূপ বাবুর ভ্রাতৃবধু এই এলাকার পৌর প্রতিনিধি।

বাদ যাননি কলকাতা পৌরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার এলাকাতেও জিতেছে বিজেপি। এভাবে দেখলে স্পষ্ট হবে, কলকাতার যে সব এলাকার মানুষ এতদিন চোখ-কান বুজে জোড়া ফুলে ছাপ দিতেন, সেসব এলাকার তৃণমূলের সিন্ধুকের তালা খুলে ফেলেছে বিজেপির ‘পদ্মফুল’।

তাই হয়তো ৩৪টি আসন জিতলেও কিছুটা চিন্তিত তৃণমূল নেত্রী। যতই তার নেতারা স্লোগান তুলুক না কেন “ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল,সব ভোট জোড়া ফুল’। কিন্তু ২০১৫ সালে কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে যে বিজেপি তাদের ‘কুল’ থাকতে দেবে না তা ভালভাবেই বুঝতে পারছেন তৃণমূলের কর্তাব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।