ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বঙ্গভূষণ এবং বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৪
বঙ্গভূষণ এবং বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত

কলকাতা: কলকাতার সাইন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হোল ‘বঙ্গভূষণ’ এবং ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান।

বিগত দুই  বছরের মতো এই বছরে মোট ১৩ জন গুণীকে ‘বঙ্গবিভূষণ" এবং ১৮ মেধাবীর হাতে ‘বঙ্গভূষণ” তুলে দেওয়া হয়।



অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল কে আর নারায়ণন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।

ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের  সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিশু শিল্পীরা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। এই দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গুণীজনদের সম্মানিত করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন ঠিক তিন বছর আগে এই দিনেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  

তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ অতীতেও ভারতকে পথ দেখিয়েছে, আগামী দিনেও দেখাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের এই গুণীজনেরা শুধু দেশ নয় গোটা বিশ্বের কাছে বাঙালিদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বাহক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাজ্যপাল কে আর নারায়ণন বলেন, রাজ্য সরকারের এই আন্তরিক প্রচেষ্টার সাথে থাকতে পেরে তিনি গর্বিত এবং আনন্দিত। তিনি বলেন, এই গুণীজনেরা দেশ এবং জাতির মানবিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সম্মান জানাতে পেরে তিনি সম্মানিত।

২০১৪ সালের “বঙ্গবিভূষণ” প্রাপকরা হলেন- লেপচা জনজাতির সংস্কৃতির গবেষক সোনম শেরিং লেপচা, সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত অরুণ ভাদুরি, পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত যাত্রা দল নট্ট কোম্পানির পরিচালক এবং কর্মকর্তা মাখন লাল নট্ট, চিকিসৎক সুকুমার মুখার্জি, অভিনেত্রী মাধবী মুখার্জি, অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ব্যবসায়ী ব্রিজ মোহন খৈতান, বিচারপতি মহম্মদ আব্দুল গনি, লেখক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুরি, শিক্ষাবিদ ফাদার ফেলিস্ক রাজ, সঙ্গীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, নৃত্য শিল্পী অলকানন্দা রায়,  সঙ্গীত শিল্পী এবং বিশ্বভারতীর সঙ্গীত বিভাগের প্রধান মোহন সিং।

“বঙ্গভূষণ” প্রাপকরা হলেন- ফুটবল খেলোয়াড় শ্যাম থাপা, বিদেশ বোস, গৌতম সরকার এবং সাবির আলি। এছাড়া এই পুরস্কার লাভ করেন সঙ্গীত শিল্পী তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, বিজ্ঞানী ড. মুন্সি গোলাম মুস্থাফা, অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, সঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য, ইন্দ্রনীল  সেন, ইন্দ্রাণী সেন, স্বাগতা লক্ষ্মী দাসগুপ্ত এবং লোপামুদ্রা মিত্র।

এছাড়া ছিলেন ক্রিকেট খেলোয়াড় লক্ষীরতন শুক্লা এবং মনোজ তিওয়ারি। ছিলেন সমাজ সেবী মহম্মদ আব্দুল ওয়াহিব, সাংবাদিক বচন সিং সরল, আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলা সমাজসেবী বিড়সা তিরকে, দাবাড়ু সূর্যশেখর গাঙ্গুলী, ভারতের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া এবং অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।

“বঙ্গবিভূষণ” প্রাপকদের ২ লক্ষ রুপি ও স্মারক এবং ‘বঙ্গভূষণ’ প্রাপকদের ১ লক্ষ রুপি এবং স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করেন অলকানন্দা রায় এবং সম্প্রদায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।