ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ডেঙ্গু আতঙ্কে ফি বাড়ছে রক্ত পরীক্ষার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
ডেঙ্গু আতঙ্কে ফি বাড়ছে রক্ত পরীক্ষার ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। এর জেরে রক্ত পরীক্ষার ফি বাড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ ল্যাবরেটরি।

 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেবর) পর্যন্ত ৯০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯০০ জনের মধ্যে অন্তত ২০০ জনই কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বলে জানা গেছে।

কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের বেসরকারি রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই বেশ কিছু মানুষ জ্বর নিয়ে এসব ল্যাবরেটরিতে আসছেন। বেসরকারি হিসেব মতে, এর মধ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষের রক্তে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।

কলকাতার আশেপাশের কিছু ল্যাবরেটরি তাদের রক্ত পরীক্ষার ফি বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও কোথাও এ ফি দ্বিগুণ তিনগুণ করা হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও কোথাও যে পরীক্ষা ১২০ রুপিতে হচ্ছে, অন্য কোনো জায়গায় সে পরীক্ষার জন্যই চাওয়া হচ্ছে ৩২০০ রুপি।

ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের জেরে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর স্বজনেরা।

দিল্লি সরকার ডেঙ্গুর পরীক্ষায় খরচ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ডেঙ্গুর এনএস-ওয়ান পরীক্ষার জন্য দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ৬০০ রুপি এবং প্লেটলেট কাউন্টের ক্ষেত্রে ৫০ রুপির ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিব মলয় দে জানিয়েছেন, ডেঙ্গু পরীক্ষায় কোন সংস্থা কেমন ফি নিচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার।

কিন্তু ডেঙ্গু পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফি বেঁধে দিচ্ছে না সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক মানুষ পরীক্ষা করাতে এসে কেন খরচ এতো বেশি, এর উত্তর জানতে চাইলে ল্যাবরেটরিগুলোর কাছ থেকে একই উত্তর পাওয়া গেছে।

তারা জানিয়েছেন, নির্ভুল পরীক্ষা করতে এ খরচ পড়ছে। তবে এ নিয়ে নানা মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে গাফিলতি করতে পারেন। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
ভিএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।