ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আঞ্চলিক-আন্তজার্তিক সহযোগিতার বিকল্প নেই 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আঞ্চলিক-আন্তজার্তিক সহযোগিতার বিকল্প নেই 

ঢাকা: দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে গত দেড় দশকে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারসহ অনেক কাজ করতে হয়েছে।  

সৌদি আরবের জেদ্দাতে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে ও আইসির প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন আইন প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে সরকারকে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সাধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আইন, সাক্ষ্য আইনের সংস্কার। এছাড়া দুর্নীতির বহুমাত্রিকতা থাকায় তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের সক্ষমতার অনুযায়ী আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দ্রুততর ও সহজতর হয়।  

আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হওয়ায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে আঞ্চলিক ও আন্তজার্তিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।  

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ একজন প্রাক্তন সরকার প্রধানের সন্তানের পাচারকৃত অর্থ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা দুর্নীতির জন্য নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করায়, তা শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়োজিত সংস্থার লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

এ সময় তিনি এ প্রসঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ডিজিটাইজেশনের ওপর জোর দেন।

দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার জন্য গৃহীত ওআইসি কনভেশনের আওতায় প্রশিক্ষণ, তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধে উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  

উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে ইন্টাপোলের মহাসচিব জার্গেন স্টক, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত অফিসের নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি, মিশরের প্রশাসন মন্ত্রী মেজর জেনারেল আমর আদেল ও এগমন্ত গ্রুপের সভাপতি জোলিসাইল খানাইল বক্তব্য রাখেন। পরে আলোচকরা ওআইসি সদস্য রাষ্টের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
টিআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।