ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সর্বোচ্চ ‘সবুজ’ কারখানার রেকর্ড বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
সর্বোচ্চ ‘সবুজ’ কারখানার রেকর্ড বাংলাদেশের ফাইল ছবি

ঢাকা: চলতি বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) স্বীকৃতি পাওয়ার রেকর্ড অর্জন করলো বাংলাদেশ। দেশে নতুন করে আরও তিনটি কারখানা সবুজ কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরে দেশে সবুজ কারখানা স্বীকৃতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০টিতে। আর দেশের সর্বমোট সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৩টি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বছর একইসাথে রেকর্ড সংখ্যক (১৫টি) কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পেয়েছে।

নতুন করে স্বীকৃতি পাওয়া কারখানা ৩টি হলো—সুইসটেক্স ভিলেজ, জিন্নাত নিটওয়্যারস লি. (আরএমজি) এবং জিন্নাত নিটওয়্যারস লি. (প্রিন্টিং)।

এর মধ্যে প্রথমটি ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অবস্থিত। অপর দুটি কারখানা ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। সুইসটেক্স লি. গোল্ড এবং বাকি দুটি কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে সবুজ স্বীকৃতি পেয়েছে।

সংখ্যার হিসেবে ২০২২ সাল সবুজ কারখানার স্বীকৃতি অর্জনে প্রথম বাংলাদেশ (৩০টি)। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২৮টি কারখানা এই স্বীকৃতি অর্জন করে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশি হিসেবে আমরা অত্যন্ত খুশি। একইসাথে পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট হয়ে তো বটেই। যেমনটি আমরা অনুমান করেছিলাম, এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক রেকর্ড অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, এ বছর একইসাথে ১৫টি কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে এই স্বীকৃতি পেয়েছে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে শুধু যে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য করা হয়েছে তা না, বরং কারখানাগুলোর গুণগত পরিবেশের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা যেটাকে ইএসজি (এনভায়রনমেন্ট স্যোশালেবল গভর্ন্যান্স) বলি, আমরা বেশ কিছু আসপেক্টে ভাগ করি, এই সব কিছু মিলেই টেকসই কারখানা নির্ধারিত হয়। সবুজ ফ্যাক্টরি করতে গেলে প্রাথমিক যে ব্যয় হয়, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে সেটি কিন্তু কমে আসে। কারণ, তাদের এনার্জি সেভিং থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যয় কমে আসে। পরে, আস্তে আস্তে করে যোগ হয়ে লাইফটাইমও বেড়ে যায়। অর্থাৎ স্থায়ী ব্যয় বেশি হলেও অস্থায়ী ব্যয় কমে আসে।

তিনি আরও বলেন, লিড সার্টিফায়েড কারখানাগুলোতে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির সঠিক এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি। পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরেই এ ধরনের স্বীকৃতি মেলে। কাজেই এই জায়গাতেও একটা বেশ বড় উন্নতি হয়েছে।

বিজিএমইএ এই পরিচালক বলেন, এখন একটা বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে, আমরা যেমন সবুজ কারখানার সংখ্যা বাড়াচ্ছি, বিদেশি ক্রেতাদের মনযোগ ধরে রাখছি, একই সাথে আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে আমরা আরও বেশি বিদেশি ক্রয়াদেশ পেতে পারি এবং আমাদের যে অতিরিক্ত স্থায়ী ব্যয় সেটার বিপরীতে পণ্যের ভালো মূল্য পেতে পারি।

এ বছর স্বীকৃতি পাওয়া ১৮৩টি কারখানার মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৬০টি, গোল্ড ক্যাটাগরির ১০৯টি, সিলভার ক্যাটাগরির ১০টি এবং সাধারণ স্বীকৃতির ৪টি কারখানা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।