ঢাকা: মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য (জানুয়ারি-জুন) সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
নতুন মুদ্রানীতিতে রেপো রেট বা নীতি সুদহার ৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা আগে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। রিভার্স রেপো রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, আগে ছিল ৪ শতাংশ।
বৈশ্বিক কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, আমদানি প্রয়োজন-নির্ভর করার মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস ও মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। এ প্রক্রিয়ায় আগামীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্য তুলে ধরা হয়।
এটি বর্তমান গভর্নরের প্রথম প্রথম মুদ্রানীতি। তিনি ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করছেন। ২০১৬ সালে ফজলে কবির গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণার বদলে একবার মুদ্রানীতি করা শুরু করেন।
এখন ডলারসহ অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার। এ ঋণের অন্যতম শর্ত বছরে অন্তত দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে হবে। এরই অংশ হিসাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী সাইদুর রহমান, আবু ফারাহ মো. নাসের, সাজেদুর রহমান, বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস , চিফ ইকোনমিস্ট হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫
জেডএ/আরএইচ