ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য মেলায় অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
বাণিজ্য মেলায় অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি

ঢাকা: ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা। এর ফলে বিক্রি বেড়েছে ব্যবসায়ীদেরও।

পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। তবে অধিকাংশ দোকানেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। খোলা জায়গায় তৈরি করে খোলামেলাভাবেই পরিবেশন করা হচ্ছে খাবার। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। তবে, এ বিষয়টি সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন বলছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি)  মেলা প্রাঙ্গন এবং এর আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।  

মেলার ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার সামনে খোলা জায়গায় পরিবেশন করা হচ্ছে এসব খাবার। পুরোনো তেলে প্রস্তুত করা ধুলাবালি মাখা এসব খাবারে রয়েছে আমাশায়ের জীবাণু। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ স্ট্রিট ফুডে আমাশয়, টাইফয়েড এবং কলেরার মতো জীবাণু পাওয়া গেছে। গবেষণাটি সম্পূর্ণ ভ্রাম্যমাণ খাবের দোকানগুলো থেকে প্রাপ্ত নমুনার উপর ভিত্তি করে এ গবেষণার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছিল।

রাস্তায় খোলামেলাভাবে খাবার বিক্রি করছিলেন রূপগঞ্জের বাসিন্দা ছাত্তার মিয়া নামের এক ব্যাক্তি। খোলামেলা খাবার কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভাই এখানে বিরক্ত কইরেন না। অন্য দিকে যান। এখন বেচা কেনার টাইম, এত কথা বলতে পারব না। আপনার জন্য আমার ক্ষতি হচ্ছে।

পাশেই খোলা জায়গায় চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি এবং বার্গার বিক্রি করছিলেন আবু সাঈদ নামের অপর এক ব্যাক্তি। তার সঙ্গে কথা হলে কিছুটা বিরক্ত হয়ে তিনি বাংলা নিউজকে বলেন, ভাই খাবার ঢাকাতে আমি পলিথিন ব্যবহার করি। কিন্তু আজ শুক্রবার বলে ভিড় বেশি ছিল। তাই সময় পাইনি৷ 

কিন্তু পলিথিন ব্যবহার তো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ তাও কেন পলিথিন ব্যবহার করছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে আবু সাইদ বলেন, এইটা আমার জানা ছিল না। ভবিষ্যতে এ রকম হবে না। পরে খাবারে ব্যবহৃত পলিথিন দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি তিনি।

মেলার সম্মুখ মুখের সামনে এমন একটি খাবারের দোকানে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। তারা প্রত্যেকেই একই বিভাগে পড়াশোনা করেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার কেন খাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাদের একজন যুবায়ের আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লেগে গেছে। তাই বলতে পারেন এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখানে খেতে এসেছি। এখানে তুলনামূলক খাবারের দাম কিছুটা কম। তবে মেলার ভেতরে খাবারের দাম গলা কাটাদাম। তাই বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ রকম একটা বিশাল জনসমাগমের মধ্যে পুরো জিনিসটা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। ফেরিওয়ালা (ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান) তাদের আসলে এভাবে আমরা ধরতেও পারি না। এর বাইরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা সেটা দ্রুত নিষ্পত্তি করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।