ঢাকা: রোজায় ব্যবহৃত পাঁচপণ্যের প্রয়োজনের বেশি এলসি খোলা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
মুখপাত্র বলেন, বুধবার পর্যন্ত এসব পণের মধ্যে চিনির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন। ভোজ্যতেলের এলসি খোলা হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৬০ টন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে, ৪২ হাজার ৫৬৩ টন, আগের বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ৩৬ হাজার ২২৬ টন। ডালের এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৭ টন, গতবছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন।
খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮২ টন, গত বছর একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। রোজা আসার আগে এলসি খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
এসব পণ্য সঠিক সরবারহে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করছে। কোনো বাধাহীনভাবে বাজারে পৌঁছানোও সম্ভব হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বেড়েছে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানির নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পুরোনো আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে এখনো ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি থাকলেও শিগগিরই এ ঘাটতি থাকবে না। এতে ডলারের সংকট দূর হবে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলা যাবে না।
কিছু ব্যবসায়ী রোজায় ব্যবহৃত পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলতে পারছে না, ব্যাংক এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবা উল হক বলেন, মোট এলসি খোলার চিত্র সে কথা বলছে না। হ্যাঁ, এমন হতে পারে কোনো ব্যাংক হয়তো খুলছে না। কিন্তু অন্য ব্যাংক বেশি খুলছে। জরুরি প্রয়োজনে এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সহায়তা দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ