ঢাকা: পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও তাইওয়ান দেশ দুটি একে অপরের পরিপূরক হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও তাইওয়ানের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জনের সুযোগগুলো উন্মোচন করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশনের (টিটিএফ) সভাপতি জাস্টিন হুয়াংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি সাক্ষাৎকালে এই অভিমত প্রকাশ পায়।
রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানে তারা পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থপূর্ণ ব্যবসায়িক যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং তাইওয়ানের পোশাক ও বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইন্টারেক্টিভ সংযোগ তৈরি করতে উভয় সমিতি কিভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। অপরদিকে, তাইওয়ান টেক্সটাইল শিল্পে শক্তিশালী একটি দেশ, যে দেশটির বিশেষ করে নন-কটন খাতে যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। যেহেতু, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে কটন থেকে নন-কটন পণ্যে বৈচিত্র্যকরণের উপর, সেইসঙ্গে ভ্যালু এডেড পণ্যের উপর জোর দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে তাইওয়ানের ম্যান-মেইড ফাইবার, পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট, নাইলন ফাইবার এবং অন্যান্য ফেব্রিক্স উৎপাদনকারী বৃহৎ টেক্সটাইল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতের চাহিদা মেটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএ এবং টিটিএফ বাংলাদেশ ও তাইওয়ানের পোশাক এবং টেক্সটাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারকরণের জন্য বাণিজ্য প্রদর্শন আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে করে উভয় পক্ষ উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আলিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিটিএফ এর পরিচালক টিমোথি ডব্লিউ. ডি. টিমো এবং টিটিএফ এর প্রচার বিভাগের এমিলি চেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এমকে/এসএএইচ