ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাগজবিহীন আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
কাগজবিহীন আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন 

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্তসীমান্ত কাগজবিহীন ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিকল্পনার কার্যকর বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

বুধবার (০৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এডিবি এবং এসকাপ-এর যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়নের আপডেটের ওপর জাতীয় বৈধতা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা একথা জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।  

বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জিয়ানবো নিম এবং এসকেপের অর্থনীতি বিষয়ক অফিসার মিজ সু হেয়ুন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশ বরাবরই ডিজিটাল বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সফলভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। কিন্তু ডিজিটাল বাণিজ্য বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে।

তারা জানান, এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যকে একক প্ল্যাটফর্মে আনার এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি ডিজিটাল ট্রেড সেল প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি একটি ডিজিটাল ট্রেড গাইডলাইনও তৈরি করেছে। ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যে যা সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় বক্তারা আরো বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও দেশের সার্বিক অবস্থান মূল্যায়ন করার মাধ্যমে এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য রোড ম্যাপ প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এছাড়া এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই চুক্তির সফল বাস্তবায়নের ফলে আন্তসীমান্ত বাণিজ্যকে একদিকে যেমন সহজতর করবে অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ২০০৯ এ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বর্তমান সরকার দেশকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই ধারণাটি বাস্তবায়নের জন্য নতুন নিয়ম, প্রবিধান ও আইন সংস্কার ও প্রবর্তন করছে। কাগজবিহীন আন্তসীমান্ত বাণিজ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশ একধাপ এগিয়ে নেবে।

সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক অর্জনের সাফল্য প্রমাণ করেছে। করোনা মহামারির আগ মুহূর্তে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.১৫ তে পৌঁছেছিল যা বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। করোনা সংকট শেষ হতে না হতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক টালমাটালের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও ৩৬টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

আন্তসীমান্ত পণ্য স্থানান্তরে বাণিজ্য লেনদেনের খরচ কমানো এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মূল্য সুশৃঙ্খলে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০১২ সালে ইকোনোমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড এশিয়া প্যাসিফিক (এসকাপ) ক্রস বর্ডার ট্রেডের জন্য একটি গবেষণা করে। পরবর্তীতে ক্রস বর্ডার পেপারলেস বাণিজ্যের সুবিধার্থে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দীর্ঘ সফল আলোচনার পর ১৯ মে ২০১৬ সালে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরে বাণিজ্যের সুবিধার্থে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি গৃহীত হয়। বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থার পদক্ষেপের বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতে  বাংলাদেশ ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ চুক্তি অনুসমর্থন করে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি কার্যকর হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।