ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমে উঠেছে মিরপুরের ফুটপাতে ঈদের বেচাকেনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
জমে উঠেছে মিরপুরের ফুটপাতে ঈদের বেচাকেনা

ঢাকা: ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

 

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মিরপুর। সেখানেও জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদবাজার। বিশেষ করে মিরপুর-১০ নম্বরের গোল চত্বরের চারপাশের রাস্তার ফুটপাতে বেচাকেনা চলছে জমজমাট।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সরেজমিনে মিরপুরের ফুটপাতে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে সরগরম ফুটপাত। পছন্দের ঈদের কেনাকাটা করতে বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের চলছে দরদাম। দরদাম মিলে গেলে অনেকেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পণ্য।  

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজা আর প্রচণ্ড গরমের কারণে ইফতারের আগে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকে। ইফতারের পর আরও বেশি ভিড় ও বেচাকেনা বেড়ে যায়।  

ফুটপাতে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের ড্রেস বিক্রেতা রাসেল নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, এবার ভাবছিলাম বেচাকেনা কম হবে, এখন দেখছি ভালোই হচ্ছে। দিন যত যাবে ততই বেচাকেনা বাড়বে। আশা করছি, ঈদের আগ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করতে পারবো।  

মাকসুদ নামে এক টি-শার্ট বিক্রেতা জানান, ক্রেতা আসছে, দেখছে, পছন্দ হলে ক্রয় করছে। এখনও পুরোপুরি বেচাকেনা শুরু হতে আরও কিছুদিন লাগবে। আশা করছি, সামনের দিনে আরও বিক্রি বাড়বে।  

ইমরান খান নামে এক শার্ট বিক্রেতা জানান, তার কাছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের শার্ট রয়েছে। তিনি বলেন, ফুটপাতে আমরা সামান্য লাভে বিক্রি করি, তাই দাম অন্যান্য জায়গার চেয়ে কম। কেনা দাম থেকে একটু বেশি পেলেই আমরা কাস্টমার ফেরত দেই না।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাকালীন তাদের বেচাকেনা একেবারে কমে গিয়েছিল। করোনা মহামারির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেননি। এবার ১০ থেকে ১২ রোজার পর থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে দম ফেলার ফুসরত থাকে না ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের।  

আহমেদ হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বাচ্চাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এবার গতবারের থেকে দাম কিছুটা বেশি। তাই সাধ্যের মধ্যে দেখে-শুনে দরদাম করে কিনতে কষ্ট হচ্ছে।

ফুটপাতে পণ্যের দাম ও মান কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পণ্য চিনতে পারলে আর দরদাম করে কিনতে পাড়লে ফুটপাত থেকে কেনা খারাপ না। আর যারা একদামে ক্রয় করতে চান, তাদের জন্য বিভিন্ন মার্কেট ভালো।  

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেয়েদের স্যান্ডেলের দাম ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। কেডস ২০০-৩৫০ টাকা, ভালো মানের কেডস ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। শার্টের দাম ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। টু পিস, থ্রি পিস ২৫০ থেকে ১২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

মেয়েদের টপের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, জিন্সের প্যান্টের দাম ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে, কামিজ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। হিজাব, ওড়না মানভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বোরকা ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, শাড়ির দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু।  

বাচ্চাদের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাচ্চাদের জিন্স প্যান্টের দাম বয়স ভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বাচ্চাদের ফ্রক ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা।

পুরুষদের পাঞ্জাবি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা, লুঙ্গি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা, পোলো টি-শার্ট ২০০-৪০০ টাকা, টি-শার্ট ২৫০-৩০০ টাকা। জিন্স প্যান্টের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, শার্ট ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।