ঢাকা: ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার ফলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ট্রান্সফার দ্যা পেপার মানি টু ডিজিটাল: টেকিং ফ্রম অ্যান্ড মেকিং অব কেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আতিউর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার একযুগ আগে ডিজিটাল বাংলাদেশের এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় আসার সময় বিষয়টি সম্পর্কে মানুষ ধারণা করতে পারেনি এটা কোথায় যাবে। কিন্তু যখন ডিজিটাল কার্যক্রমগুলো এগিয়ে যেতে থাকলো তখন মানুষ এর গুরুত্ব বুঝতে পারে। আজকের আলোচনা হচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে। ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে আলোচনার আগে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ডিজিটাল হওয়ার প্রয়োজন নিয়ে আলোচনা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, একযুগ আগে আর্থিক খাত যখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম ছিল না। রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) ছিল না, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ছিল না, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ফর্মে এ রকম শতাধিক ‘না’ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তরুণ ব্যাংকার ছিল, যাদের সঙ্গে করে আজকের ডিজিটাল ব্যাংকের ফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটালি এগিয়ে যাওয়ার গতিপথে অবস্থান করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মোবাইল ফাইনান্সিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল এস কাদির। কি-নোট উপস্থাপনা করেন ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিংয়ের চেয়ারম্যান ড. জামাল আহমেদ।
এ সময় কামাল এস কাদির বলেন, বিকাশে গ্রাহকের টাকা সুরক্ষিত থাকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সব অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রয়েছে। কোনো কারণে বিকাশে এক্সিডেন্ট হলে ব্যাংকে সংরক্ষিত অর্থ থেকে গ্রাহকরা টাকা পাবেন। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাস ও আস্থা জরুরি। এ জন্য পলিসি ও লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক; প্রপার ট্র্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকের স্বার্থের নিরাপত্তার নিশ্চিত করা এবং সু-শাসন নিশ্চিত করা। মোবাইল ফাইনান্সিং বিকাশে এ সব নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান বিকাশ প্রধান।
ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিংয়ের চেয়ারম্যান ড. জামাল আহমেদ বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকিং অ-প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতিকে কমাতে সহায়তা করে। এর ফলে সরকারের যেমন আয় বাড়বে। ফর্মাল অর্থনীতিও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
জেডএ/এমজে