ঢাকা: ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর জনপ্রিয় বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। করোনা মহামারির কারণে কয়েক বছর সেভাবে ঈদের বাজার জমে না উঠলেও এ বছর ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট দোকানিরাও।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ও বাইরে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে মার্কেটে। পোশাক ও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত বিক্রয়কর্মীরা। ক্রেতাদের চাহিদা ও রুচির কথা মাথায় রেখেই নতুন সব পোশাকের পসরা সাজিয়েছে ব্র্যান্ডগুলো। পছন্দসই পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।
বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। করোনার কারণে গত বছরগুলোতে ব্যবসায় ভাটা পড়লেও এ বছর ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। রোজার শুরু থেকে যতদিন যাচ্ছে, বাড়ছে ক্রেতাদের উপস্থিতিও।
বসুন্ধরার আড়ংয়ের শো-রুমে ঢুকতেই দেখা যায় ক্রেতা-দর্শনার্থীতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। আড়ংয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরাবরের মতোই ঈদে সবচেয়ে বেশি চাহিদা পাঞ্জাবির। আড়ং ছাড়াও জেন্টলপার্ক, সেইলর, ইয়েলো, ইনফিনিটি, ইজি, জারা, প্লাস পয়েন্টসহ প্রায় সব ব্র্যান্ডের দোকানেগুলোতেই ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি।
ইনফিনিটি ব্র্যান্ডের বিক্রেতারা বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা ঈদ উপলক্ষে পোশাকে নতুনত্ব রেখেছি। এ বছর আশানুরূপ ক্রেতাও পাচ্ছি। ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি শার্ট ও প্যান্টে। আশা করছি ঈদের আগ মুহূর্তে ক্রেতা আরও বাড়বে। '
পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ক্রেতাদের সমান উপস্থিতি জুতার ব্র্যান্ডগুলোতেও। অ্যাপেক্স, বে, বাটাসহ সব স্টোরেই ক্রেতাদের তিল ধারণের জায়গা নেই। অনেকেই এসেছেন পরিবার নিয়ে, শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষই পছন্দ করছেন জুতা।
বাটা স্টোরের ইনচার্জ বলেন, ‘আমরা ঈদ উপলক্ষে ছয়শ’র বেশি কালেকশন রেখেছি। এবার প্রচুর ক্রেতা আসছেন। লেডিস, মেন্স, কিডস সব ধরনের জুতার চাহিদাই খুব ভালো। ’
ক্রেতারা বলছেন, গরম ও সাধারণ মার্কেটে ভিড় এড়াতে বসুন্ধরায় আসছেন তারা। এক সঙ্গে প্রায় সব ব্র্যান্ডের দোকান, পণ্যের বৈচিত্র্য, গুণগতমান ছাড়াও এক্সচেঞ্জ সুবিধা, দামাদামির ঝামেলা না থাকায় তাদের ঈদের কেনাকাটা সহজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস