ঢাকা: অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম।
বুধবার (১০ মে) রাতে রাজধানীর ফার্মগেট, পূর্ব কাজীপাড়া ও মিরপুর-১৩ নম্বরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কলমিলতা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের আগে থেকেই খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা। আর দেশি চিনিকলের চিনি ১৫০ টাকা। নতুন করে এখনো চিনির দাম বাড়েনি। তবে কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাম বাড়বে।
কাজীপাড়ায় সড়কের পাশের দোকানে খোলা চিনির কেজি ১৩৫ টাকা। তবে কিছুটা ভেতরে গলির দোকানে চিনির কেজি ১৪০ টাকা। অনেক দোকানে কেজি ১৪৫ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
পূর্ব কাজীপাড়ার দোকানদার আসগর আলী জানান, অনেক আগে থেকেই খোলা চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে দাম বাড়েনি।
বস্তা দেখিয়ে তিনি বলেন, শুনছি চিনির দাম বেড়েছে। আগের চিনি শেষ না হওয়ায় নতুন করে চিনি আনা হয়নি। নতুন চিনি নাকি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে।
চিনির দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় মিরপুরের-১৩ নম্বর সেকশনের চা বিক্রেতা আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, কদিন পর পর চিনির দাম বাড়লে তো সমস্যা। কেজিতে ১০/১৫ টাকা বাড়লে চায়ের দাম বাড়ানো যায় না। তখন লাভ কমে যায়।
১৩৫ টাকা চিনি বিক্রি করছেন মিরপুর-১০ নম্বরের ব্যবসায়ি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, দাম তো সরকার বেধে দিয়েছে, বেশি নিবো কেন!
চিনির দাম বৃদ্ধি বড় দুঃসংবাদ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের জন্য। মিষ্টির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল চিনি। চিনির দাম বাড়লে মিষ্টির দামও নতুন করে বাড়াতে হয় ব্যবসায়ীদের। রোজ রোজ দাম বাড়াতে গিয়ে তারা ত্যক্ত-বিরক্ত।
চিনি আমদানিতে শুল্ক ছাড় চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর আছে। এই ছাড় অব্যাহত রাখতেই দাম বাড়ানোর আভাস দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে চিনি আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (১০ মে) বাণিজ্য-সচিব তপন কান্তি ঘোষ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্কহার এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি পাঠাবো। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
জেডএ/এমএইচএস