চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আমে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার না করা এবং অসময়ে অপরিপক্ক আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে গাছ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন।
সে অনুযায়ী রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের পেছনে মহলদার আম বাগানে আম পাড়ার মাধ্যমে এ আম সংগ্রহ মৌসুম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
অতিথি ছিলেন জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
এর আগে, জেলার বিভিন্ন আম বাগান মালিক, ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় জাত ভেড়ে আম পাড়ার ভিন্ন ভিন্ন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১৪ মে থেকে আটি আম, গুটি আম ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহের মাধ্যমে আম সংগ্রহ শুরু হলো।
এরপর ২২ মে থেকে হিমসাগর, ২৫ মে থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ২১ জুন ফজলি, ১ জুলাই আশ্বিনা (বারি আম-৪) সংগ্রহ শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার তাপমাত্রা ও বর্তমান আবহাওয়া বিবেচনা করে আম ভাঙার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ জেলায় এ বছর আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১৯১ হেক্টর জমিতে এবং সেখানে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭৪ হেক্টর বেশি। এসব জমিতে আম উৎপাদন হবে ৩৪ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক বাজার দাম প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১৪ মে আটি আম, গুটি আম ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহের মাধ্যমে আম সংগ্রহ শুরু হলো। জাত অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া আছে সে অনুযায়ী আম সংগ্রহ করতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী বা আমচাষি আমে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশালে বা অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে অথবা কোনো অসাধু উপায় অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসআই