মাদারীপুর: চিনি এবং দুধের দাম বাড়ায় বাড়ছে মিষ্টির দামও; কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দাম।
মিষ্টির দোকানিরা জানান, রোজার শেষের দিকে এসে দুধের দাম লিটারে প্রায় ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এদিকে মিষ্টির দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। রোজার মাঝামাঝিতেও যে মিষ্টি ২২০ টাকায় কিনেছেন তা এখন দরদাম করে কিনতে হচ্ছে ২৬০ টাকা করে। এছাড়া ২৫০ টাকার মিষ্টি ৩০০ থেকে ৩২০ বিশ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই দাম বাড়ায় বিক্রেতার সঙ্গে দামদর করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে চাহিদার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে মিষ্টি।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, মিষ্টির দাম বাড়ায় চাহিদা কমেছে। বাজারে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা কেজির মিষ্টি রয়েছে। যা মাস খানেক আগেও ১৮০/২০০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া একটু ভালো মানের মিষ্টি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে পরিমাণে কম বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি।
মো.রনি নামের এক ক্রেতা বলেন, এক মাসের ব্যবধানে মিষ্টির দাম অনেক বেড়েছে। ২০০ টাকা দামের মিষ্টি এখন ২৫০ টাকা। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যাওয়াও এখন কষ্টকর হয়ে উঠছে। দিন দিন এভাবে দাম বাড়ায় জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়ির ছোট ছেলে মেয়েরা মিষ্টি খেতে চাইলে এখন আধা কেজি মিষ্টি কিনতে হচ্ছে। যাতে খরচ কম হয়।
জেলার শিবচরের দ্বীপ দধি ভান্ডার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দাম বৃদ্ধি পাওয়া মিষ্টির মধ্যে প্যাড়া সন্দেশ ৬০০ টাকা; মালাইচপ, জাফরান ও সর মালাই ৬৫০ টাকা, জিলাপি ১৮০ টাকা, আমিত্তি ২০০ টাকা, গুটি লাল মোহন ৩৫০ টাকা, লেডিগিন্নী ৩০০ টাকা, রসগোল্লা ৩৫০ টাকা, গুড়ের সন্দেশ ৬৫০ টাকা, বরফি ও ছানা ৭০০ টাকা, রসমালাই ৫০০ টাকা, কালোজাম ও খিরের চমচম ২৫০ টাকা এবং গাওয়া ঘি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি।
দোকানটির সত্ত্বাধিকারী অসিম কুমার মালো জানান, দুধের দাম সব সময় এক রকম থাকে না। কখনো প্রতিলিটার কিনতে হয় ১শত টাকার উপরে, আবার কখনো ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে চিনির দাম বাড়ার ফলে মিষ্টির দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। দুধের দাম কম হলে মিষ্টির মান ভালো হয়। চিনির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারা যাচ্ছে না। সব মিষ্টির দামই বাড়াতে হয়েছে। ফলে লোকজন পরিমানে কম কিনছেন মিষ্টি। আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এমএমজেড