ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অপ্রচলিত বাজারগুলোয় বাণিজ্য বাড়ানো জরুরি: এফবিসিসিআই সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
অপ্রচলিত বাজারগুলোয় বাণিজ্য বাড়ানো জরুরি: এফবিসিসিআই সভাপতি

ঢাকা: পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অপ্রচলিত বাজারগুলোকে ধরতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার সময়োচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করে বাণিজ্য জোরদারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বুধবার (১৭ মে) লিবিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইউরোপ, আমেরিকার প্রচলিত বাজারের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের অপ্রচলিত এসব বাজারকে ধরতে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা একক বাজার নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসায় তা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাজারজাতকরণ কৌশলেও বাংলাদেশকে দক্ষতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর তথ্য তুলে ধরে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক এবং প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাও অপরিসীম।  

লিবিয়ায় এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা জানিয়ে দেশটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, লিবিয়াতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

উল্লেখিত খাতগুলোসহ দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবো আমরা। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইর মূল্যবান পরামর্শ এবং মতামত পেলে দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।

সরকারি ও বেসরকারিখাত সমন্বিতভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার অগ্রযাত্রা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও অ্যাম্বাসেডর মাসুদ মান্নান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এমকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।