ঢাকা: মে মাসে প্রবাসী আয় এলো ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, দেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৮ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
এই প্রবাসী আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য মিলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ১৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসেছিল ৪ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মে মাসে এসেছে ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এপ্রিলে মাসে এসেছিল ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার।
মে মাসে একক মাস হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ২ লাখ মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ১১ কোটি ৬৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে।
এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় কমে আসার পর পরই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়েছিল, ঈদের মাসে বেশি ছুটি থাকার কারণে প্রবাসী আয় কম এসেছে। তাছাড়া রোজার শুরুর মাস মার্চে রোজার জন্য পরিজনদের কাছে প্রবাসীরা বেশি টাকা পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় কমেছে। মে মাসে আবার বাড়বে প্রবাসী আয়। কিন্তু মে মাসের শেষের দিকে দেখা যায় প্রবাসী এপ্রিলের চেয়ে কমে আসছে।
এরপর তড়িঘড়ি করে প্রবাসী আয়ের ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পঞ্চাশ পয়সা করা হয়। সঙ্গে সরকারী প্রণোদনা ২ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রবাসীরা এক ডলার দেশে পাঠালে পাচ্ছেন ১১১ টাকা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসী আয় আসে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিল মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের বছরের মে এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ