ঢাকা: সরকারি ৩৮ ধরনের সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমার দেওয়ার রশিদ দিতে হয়। কারো আয় করমুক্ত আয়সীমার নিচে হলেও তাকে সেবাগুরো পেতে রিটার্ন জমার রশিদ দিতে হতো।
গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে, এমন করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও আয়ের পরিমাণ–নির্বিশেষে ন্যূনতম করের পরিমাণ দুই হাজার টাকা হবে।
নতুন আয়কর আইনটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে চলতি অধিবেশনেই উঠতে যাচ্ছে। সেই খসড়ায় নতুন খাতগুলো যুক্ত করা হয়েছে। যেসব নতুন খাত বাধ্যতামূলক রিটার্ন দাখিলের আওতায় আসছে, সেগুলো হলো—
১. নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ গ্রহণের সময় বাড়ির মালিকের;
২. নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সেবা বা পণ্য গ্রহণকালে ওই পণ্য বা সেবা সরবরাহকারীর;
৩. ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থা, সোসাইটি ও সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খুলতে ও চালু রাখতে;
৪. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারে ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্তি করতে বা বহাল রাখতে;
৫. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে এমন গঠিত কর্তৃপক্ষ বা অন্য সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় অনুমোদনের জন্য ভবন নকশার আবেদন দাখিলকালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ