ঢাকা: আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিন আগে রোববার (৪ জুন) দেশি পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা সোমবার (৫ জুন) ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আজ (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।
মহাখালী কাঁচা বাজারের খুচরো ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ আমদানির তথ্য আসায় বাজারে দাম কমে গেছে। এতে আমাদের লোকসান হবে। বাড়তি দাম দিয়ে কেনা পেঁয়াজ এখন কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে, ক্রেতারা এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেই দাম বাড়িয়েছিল। এখন আমদানির ঘোষণা আসামাত্রই তারা দাম কমিয়েছেন।
মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন রাশেদুল হক। বেসরকারি এই চাকরিজীবী বলেন, বাজারে সব পণ্যেরই দাম বেশি। যখন যেটা আমদানির ঘোষণা আসে, তখনই দাম কমতে থাকে। তারমানে এটা সিন্ডিকেটবাজির কারণেই হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করার পর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুদ আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসেবে পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়। তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকায় ঠেকেছিল।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবারও (১ জুন) খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তাদের বাজার পর্যালোচনার তথ্য মতে, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ। গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড