ঢাকা: আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
গত দুই দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এদিন (৬ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গতকাল (৫ জুন) থেকে এখন পর্যন্ত (৬ জুন বিকেল ৫টা) আমদানি করা ১,২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। এই দুই দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেওয়ার এক দিনের মধ্যে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে পাইকারি বাজারগুলোতে সোমবার (৫ জুন) ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশ করলেও মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা নাগাদও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা দোকানগুলোতে পৌঁছেনি ভারতীয় পেঁয়াজ। যার ফলে খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব পড়েনি। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে আজও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
যদিও আমদানির খবরে আগের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। যা তিন দিন আগেও খুচরায় কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ বলেন, তিন দিন আগে আমরা পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৯০ টাকা দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসায় আজ (৬ জুন) ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি করেছি ৫৫-৬০ টাকা দরে। দ্রুতই খুচরা বাজারেও দাম কমে আসবে।
রাজধানীর সূত্রাপুর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলরাম পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবর পেয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে পৌঁছেনি। আমরা আজকে ৯০ থেকে ১০০ কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। যা দুই দিন আগেও ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করেছি। আমাদের বেশি দামে কেনা, তাই কম দামে বিক্রি করতে পারি না। তাহলে যে লোকসান গুণতে হবে। বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ শেষ হলেই ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
জিসিজি/এনএস