ঢাকা: প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে নগদ লেনদেনের চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শেষ কর্মদিবস গত সোমবারও (২৬ জুন) ছিল একই চিত্র।
সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত এক দিনের জন্য এ ধার নেওয়া হয়। এ ধার দেওয়া নেওয়া কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় সম্পন্ন হয় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত।
সংশ্লিস্টরা জানান, গত কয়েকবছর ধরেই কলমানি সুদের হার স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও বেশ কয়েক বছর আগে একবার কোরবানির ঈদের আগে কলমানি রেট রেকর্ড ১৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গ্রাহকদের বাড়তি টাকার চাহিদা মেটাতে এবার ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো ও তারল্য সহায়তা ব্যবস্থায়ও অর্থ ধার নিয়েছে। সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় প্রতিদিনই অর্থ ধার নিয়েছে। এতে কলমানিতে চাপ কম পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সোমবার কলমানিতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। আগের দিন রোববার (২৫ জুন) লেনদেন হয়েছিল রেকর্ড ৮ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমলেও শেষ কর্মদিবসে গড় সুদের হার কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন গড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে ব্যাংকগুলোর মধ্যে লেনদেন হলেও শেষদিনে তা বেড়ে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশে উঠে।
তথ্য বলছে, শেষে কর্মদিবসে ব্যাংকে নগদ লেনদেনের চাপ বাড়লেও আন্তঃব্যাংক কলমানিতে লেনদেন কমেছে। তবে কিছুটা বেড়েছে সুদের হার। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় শেষ কার্যদিবসেও কলমানি গড় সুদের হার ৬ শতাংশের ঘরেই ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ