ঢাকা: নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতায় যখন নাভিশ্বাস ভোক্তার, তখনই আগুন কাঁচা মরিচের বাজারে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা
শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকার মিরপুর এলাকায় ১৪ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া।
রাজধানীতে কাঁচা মরিচের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন বাজার ও কাঁচা মরিচের প্রকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ১০০-১৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
সবজি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা, কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ ৩৮০-৪০০ টাকা, টমেটো কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, ও লেবুর হালি ৮-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা মো. কে এম হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সবজির মূল্য আসলে আমাদের হাতের নাগালে নেই, কিছু করারও নেই আমরা বুঝতে পারছি না। তারা যে দাম চাচ্ছে, সেই দামে কিনে খেতে হচ্ছে। আবার অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার ও শনিবার দামও একটু বেশি।
মিরপুর-১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বউ বাজারের মনিরুল স্টোরের মালিক মো. আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম আবার কিছু বাড়ছে। এখন ৭০-৮০ টাকা কেজি, আলু ৪৫ টাকা করে বিক্রি করছি, রসুন ১৬০-১৮০ টাকা। আমরা যেমন কিনি তেমনি বিক্রি করি, কি কারণে দাম বাড়ছে আমাদের জানা নেই। দাম বাড়াতে বেচা-কেনাও কম হচ্ছে।
বউ বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গাড়ি ভাড়া, মুরগির ওজন কমে যাওয়া, কিছু মুরগি মরেও যায় তার জন্য দামও একটু চড়া। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৭০-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
এ সময় দেখা যায়, মাঝারি আকারে রুই ও কাতলা মাছ ২৮০-৩২০ টাকা কেজি, বড় রুই মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া চিংড়ি আকারভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
চিংড়ি মাছ বিক্রেতা কামাল হোসেন জানান, মাছ বেশি ধরা পড়লে দাম কম থাকে। এখন নদীর চিংড়ি কম ধরা পড়ছে তাই দাম একটু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
জিএমএম/এসএম