ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো মোটরসাইকেলের হেলমেট উৎপাদন শুরু করেছে আরএফএল গ্রুপ। এ উপলক্ষে হেলমেটের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সানজি হোটেলে দেশে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত ‘সেফমেট’ ব্র্যান্ডের হেলমেটের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাণ আরএফএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য হেলমেট একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিতই করে না, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট পরিধানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর্থ-সামাজিক অবস্থা, জীবনযাত্রার পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে বাংলাদেশে দিন দিন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। একই কারণে হেলমেটের চাহিদাও বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যেসব হেলমেট পাওয়া তা প্রায় পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এবং এসব আমদানিকৃত হেলমেট অধিকাংশ মানসম্মত নয়। আমাদের উৎপাদিত সেকমেট হেলমেট বিএসটিআই সার্টিফাইড, যা বাংলাদেশে শুধু আমাদেরই রয়েছে। যাত্রা পথে মানসম্মত হেলমেট সকলের ব্যবহার করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে আরএফএল হেলমেট ব্যবসা শুরু করলো। মানুষের জন্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে উন্নতমানের হেলমেট ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়াই এ ব্যবসায় আসার প্রধান উদ্দেশ্য।
ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম বলেন, সেফমেট হেলমেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি অ্যাডভাপড এবিএস শেল এবং পিসি ম্যাটেরিয়ালে তৈরি। এতে রয়েছে উন্নতমানের বেন্ট ও লকিং সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে রয়েছে উন্নতমানের ভেন্টিলেশন সিস্টেম।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেফমেট হেলমেট রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন বিদেশি ক্রেতা কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
শুরুর দিকে দুই ধরনের হেলমেট পাওয়া যাবে। হাফ ফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১৪০০ টাকা এবং ফুলফেস হেলমেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ২২৫০ টাকা। সুপার স্টোর, বাইক অ্যাক্সেসরিজ এবং হেলমেট বিক্রয় করে এরকম শোরুমে সেফমেট হেলমেট পাওয়া যাবে।
বর্তমানে দেশে বার্ষিক হেলমেটের বাজার ৫০০ কোটি টাকার ওপরে। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে ভারত থেকে এবং বাকি চীন থেকে। তাই প্রাণ আরএফএল নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় এ হেলমেট উৎপাদিত হচ্ছে। কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা এক লাখ ২০ হাজার পিসের ওপর। প্রাথমিকভাবে এ কারখানাটিতে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং ইসফাকুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) নাহিদ কবির, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ২০ জুলাই, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএস